ক্ষমা চাইলেন চুয়ামিনি
কিংসলে কোমান পেনাল্টি মিস করায় এমনিতেই এক গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে ফ্রান্স। এই সময়ে আর একটি মিস মানে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়া। উল্টো তখন আরও বড় ভুল করে ফেলেন আরলিয়েন চুয়ামিনি। লক্ষ্যেই শট নিতে পারেননি। দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ফরাসিরা। শেষ পর্যন্ত হারতেই হয় তাদের। তবে নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন এ রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
রাশিয়ায় বিশ্বকাপের গত আসরে বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স। সে দলটির প্রাণভোমরা ছিলেন মিডফিল্ডের দুই সৈনিক এনগোলো কান্তে ও পল পগবা। কিন্তু এবার বিশ্বকাপের আগেই চোটের কারণে ছিটকে যান এ দুই তারকা। তাদের অবর্তমানে মাঝমাঠের দায়িত্ব বর্তায় তরুণ চুয়ামিনি ও আদ্রিয়ান রাবিওর উপর। পুরো আসরে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে পগবা-কন্তেদের অভাব একটুও বুঝতে দেননি চুয়ামিনিরা। কিন্তু টাই-ব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় ভাগ্য আর সঙ্গে থাকেনি তার।
কাতারের দোহা থেকে গতকাল সোমবার প্যারিসে ফিরেছে ফরাসি দল। দেশে ফিরে মঙ্গলবার সামাজিকমাধ্যমে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন চুয়ামিনি। একই সঙ্গে তাদের সমর্থনও চেয়েছেন তিনি, 'এই তিক্ততা ও হতাশা হজম হতে সময় লাগবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। (কিন্তু ) এটা কাজ করেনি। এবং আমিই প্রথম দুঃখিত। আমি নিশ্চিত যে ফ্রান্স ফুটবলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, বিশেষ করে যদি আমরা আপনাদের (সমর্থক) উপর নির্ভর করতে পারি।'
ফাইনালে হারলেও দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন চুয়ামিনি-কোমানরা। কিন্তু তারপরও কিছু সমর্থক তাদের বেশ আগ্রাসী আচরণ করেছেন তাদের সঙ্গে। সামাজিকমাধ্যমে অনেকেই পেনাল্টি মিস করা কোমান ও চুয়ামিনিকে দায় দিয়েছেন হারের জন্য। এমনকি বর্ণবাদী অনেক মন্তব্যও করেছেন তারা।
কোমানকে করা বর্ণবাদী মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে তার ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ, 'এফসি বায়ার্ন মিউনিখ কিংসলে কোমানের প্রতি করা বর্ণবাদী মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে। রাজা, আপনার সঙ্গেই আছে এফসি বায়ার্ন পরিবার। খেলাধুলা বা আমাদের সমাজে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই।'
Comments