সিআইপি সম্মাননা পেলেন ৬৭ প্রবাসী

রোববার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সুইডেন প্রবাসী কাজী শাহ আলমের হাতে সিআইপি সম্মাননা তুলে দেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদসহ অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

বিদেশ থেকে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে এবং বিদেশে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৬৭ প্রবাসীকে কমার্শিয়ালি ইম্পরট্যান্ট পারসন (সিআইপি) সম্মাননা দেয়া হয়েছে। এ সময় ১ হাজার ৬৮৮ প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের বৃত্তিও দেয়া হয়।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

এসময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, 'নিরাপদ ও নৈতিক অভিবাসন নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।'

'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে বছরে গড়ে ১ হাজার কর্মীকে বিদেশে পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী, আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও, সুশীলসমাজসহ সব অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের যে চ্যালেঞ্জ আছে সেগুলো সবার আন্তরিক সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে অতিক্রম করা সম্ভব।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য দক্ষ জনশক্তির কোনো বিকল্প নেই। যথাযথ প্রশিক্ষণ পেলে আমাদের অভিবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে আরও বড় অবদান রাখতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় উপজেলা পর্যায়ে একটি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ জুলাই ২৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে আরও ১০০টি উপজেলায় ১০০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন।'  

আমাদের অভিবাসী কর্মীরা দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে তারা দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের অভিবাসী কর্মীরা বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন।'

Comments

The Daily Star  | English
Chinese firms bullish on Bangladesh’s manmade fibre

Chinese firms bullish on Bangladesh’s manmade fibre

Non-cotton garments are particularly lucrative, fetching higher prices than traditional cottonwear for having better flexibility, durability

15h ago