আ. লীগ কাউন্সিলে খরচ হবে ৩ কোটি ১৩ লাখ, ব্যাংকে আছে ৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা

আওয়ামী লীগের প্রার্থী

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ব্যাংকে রয়েছে ৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। দলটির ধারণা, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থীদের কাছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি বাবদ আয় থেকে তাদের ব্যাংকে টাকার পরিমাণ বাড়বে।

আগামী ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় ২২তম ত্রৈবার্ষিক জাতীয় কাউন্সিলের জন্য দলটি ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয় করবে বলে জানা গেলে আওয়ামী লীগ সূত্র থেকে।

গতকাল শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় এ কথা বলা হয়। কাউন্সিল নিয়ে আলোচনার জন্য এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগের এই জাতীয় কমিটি দলের আয়-ব্যয় অনুমোদন করে।

বৈঠকে উপস্থিত ব্যক্তিদের মতে, ২০১৯ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে প্রায় ২১ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং এর ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। তখন তাদের ব্যাংকে জমা ছিল প্রায় ৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।

২০২০ সালে আওয়ামী লীগের আয় ছিল প্রায় ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, ব্যয় ছিল প্রায় ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা এবং ব্যাংকে ছিল প্রায় ৫০ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।

২০২১ সালে ক্ষমতাসীন দলটি প্রায় ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা আয় করেছে এবং ব্যয় করেছে প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার টাকা। আওয়ামী লীগের এখন ব্যাংকে রয়েছে প্রায় ৭০ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বর্তমান আর্থিক সংকটকে মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ নিজেদের জাতীয় কাউন্সিলে খরচের বিষয়ে কঠোরতা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই হিসাবে, এবার কাউন্সিলের জন্য তারা বরাদ্দ দিয়েছে ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত তাদের কাউন্সিলের বাজেটের চেয়ে এবারের খরচ অন্তত ৩০ লাখ টাকা কম হবে।

এবারের বাজেটে দলটি প্রচার ও প্রকাশনার জন্য ২৪ লাখ, দপ্তর ব্যয় ৫ লাখ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ১০ লাখ, খাবারের জন্য ১ কোটি ৫৪ লাখ এবং মঞ্চ ও সাজসজ্জার জন্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে সূত্র জানায়।

বৈঠকে কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন: প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

10h ago