নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: বিএনপির আরও ১০৫ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন খারিজ
রাজধানীর নয়াপল্টনে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আরও ১০৫ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
গতকাল একই মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন ঢাকার আরেকটি আদালত।
এ মামলায় বিএনপির অপর ২২২ নেতাকর্মীর জামিন আবেদনও খারিজ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ফজলুল হক মিলন ও সেলিম রেজা হাবিব।
আজকের শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, তাদের মক্কেলরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। হয়রানিমূলকভাবে তাদেরকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে এবং তাদের জামিন দেওয়া উচিত।
বাদীপক্ষ জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, এই নেতাকর্মীরা দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নির্দেশে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করেছেন।
উভয়পক্ষের কথা শুনে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অপরাধের গভীরতা বিবেচনায় আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন খারিজ করেন ম্যাজিস্ট্রেট।
নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গত ৭ ডিসেম্বর সংঘর্ষের একদিন পর পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করা হয়।
এই সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও কয়েক জন আহত হয়েছেন।
মামলায় গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের মোট ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পরদিন ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়।
৯ ডিসেম্বর ভোররাত ৩টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফখরুল ও আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। একই দিন ফখরুল ও আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম।
নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা করতে দলীয় সদস্যদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ওই ২ বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
Comments