বেতনের দাবিতে গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ

পুলিশ লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে পুলিশ ও শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের মৌচাক এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে নিউ লাইন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে পুলিশ ও শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন শ্রমিক আহত হন।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ওই পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, স্টাফ পর্যায়ের ৫ মাসের এবং শ্রমিকদের গত ৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বারবার বেতনের আশ্বাস দিয়েও কারখানা মালিক বেতন দিচ্ছে না। আশ্বাস দেওয়ার পরও বেতন না দেওয়ায় শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে মহাসড়কে নেমে আন্দোলন শুরু করেন। পুলিশ বিক্ষোভরত শ্রমিকদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তারা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ শ্রমিকদের ওপর ওপর লাঠিচার্জ করলে কয়েকজন শ্রমিক আহত হন।

স্থানীয়রা জানান, পুলিশের লাঠিচার্জে স্থানীয় দোকানদারসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এসব ঘটনা ভিডিও করতে গেলে পুলিশ স্থানীয় সংবাদ কর্মীদেরও লাঠিপেটা করে। কারখানা ও মহাসড়কে বিপুল পরিমাণ পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

সুইং সেকশনের অপারেটর আলেয়া খাতুন, উসমান গণি এবং মনির হোসেনসহ আরও কয়েকজন জানান, তারা এলাকায় ভাড়া থেকে ওই কারখানায় চাকরি করেন। ৩ মাস যাবত বেতন না পাওয়ায় ঘর ভাড়া বাকি রয়েছে। জিনিসপত্রের অনেক দাম। নিয়মিত বাজার করতে পারছেন না। পুলিশ তাদের সহযোগিতা না করে উল্টো লাঠিচার্জ করেছে। অনেক শ্রমিক আহত হয়েছেন। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। পুলিশ নিরীহ শ্রমিকদের মেরেছে।

কালিয়াকৈরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শ্রমিকেরা মহাসড়ক ছেড়ে কারখানার সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছেন। ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ রয়েছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর ইন্সপেক্টর (কালিয়াকৈর) নিতাই চন্দ্র সরকার জানান, ২ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন করছেন। আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। হেড অফিস থেকে কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসছেন। তারা আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

US welcomes Bangladesh election plan

The US yesterday welcomed plans by Bangladesh's interim leader to hold elections next year or in early 2026

1h ago