ফ্লাইট ছাড়ায় দেরি, সৈয়দপুরে যাত্রী ও নভোএয়ার কর্মীদের হাতাহাতি
সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ঢাকাগামী যাত্রী ও বেসরকারি বিমান চলাচলকারী সংস্থা নভোএয়ারের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট না ছাড়ায় আজ রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ২ যাত্রীকে আটক করে। পরে বিকেলে ঢাকা থেকে নভোএয়ারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সৈয়দপুরে গিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
আটককৃত যাত্রীরা হলেন-দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা শহরের ব্যবসায়ী জসীমউদ্দীন এবং রংপুরের চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট থেকে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় রাখার পর যাত্রীদের বলা হয়, ঢাকার আবহাওয়া কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হবে।
ঠিক এ ঘোষণার সময় অপর ঢাকা থেকে আরেকটি সংস্থার ফ্লাইট যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ ঘটনা দেখে যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে নভোএয়ারের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান যে অন্য সংস্থার উড়োজাহাজ যেখানে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে, সেখানে নভোএয়ার কেন দেরি করছে।
উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। উত্তেজিত যাত্রীরা বিমানবন্দরের এক পাশে নভোএয়ারের জন্য বরাদ্দ ডেস্কে ভাঙচুর চালায়। এ সময় সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ২ যাত্রীকে আটক করে।
আটক জসীমউদ্দীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঢাকায় আজ আমার জরুরি পেশাগত মিটিং ছিল। আমিসহ অন্য যাত্রীরা যখন বিমানবন্দর ম্যানেজারের কাছে ফ্লাইট দেরির কারণ জানতে চাই, তখন তিনি দুর্ব্যবহার করেন। নভোএয়ারের কর্মীরা আমাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।'
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, আটক দুজনকে রেখে বাকি ৬২ যাত্রী নিয়ে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানান, বিকেলে নভোএয়ারের হেড অফ সেলস ঢাকা থেকে সৈয়দপুর এসে আটককৃতদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সমাধান করেছেন।
পরে ওই দুজনকে নভোএয়ারের আরেকটি ফ্লাইটে ঢাকা যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
Comments