সমাবেশ শেষে বাড়ি ফিরছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গোলাপবাগ মাঠ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা বের হতে থাকে। ছবি: এমরান হোসেন/স্টার

রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ শেষে বাড়ি ফিরছেন নেতাকর্মীরা। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সমাবেশের সমাপনী ঘোষণা দেন।

তখন থেকেই গোলাপবাগ মাঠ থেকে বের হতে শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। দলে দলে স্লোগান দিতে দিতে তারা মাঠ থেকে বের হয় মূল সড়ক দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়া শুরু করেন।

সমাবেশে যোগ দিতে নওগাঁ থেকে গত ৩ দিন আগে ঢাকায় এসেছিল ৫৫ জনের যুবদলের একটি গ্রুপ। 

তাদের একজন আলীম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা গত ৩ দিন আগে ঢাকা এসেছি। উত্তরায় এসেছি প্রথমে। আজ সমাবেশ শেষে আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।'

যানবাহন সংকটের কারণে অনেক নেতাকর্মীকে গাড়ির অপেক্ষা করতে দেখা যায়। ছবি: মুনতাকিম সাদ/স্টার

কয়েকটি দলকে বিএনপির স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে তারা মালিবাগ, মুগদা সড়ক গিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে চলে যান।  

আরও অনেক নেতাকর্মীকে দেখা যায়, সমাবেশস্থলের বাইরে কিছুদূর হেঁটে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা, পিকআপ ভ্যান বা রিকশায় করে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। 

এদিকে ঢাকায় আজ যানবাহনের সংকট থাকায় অনেককে দেখা যায় যানবাহনের অপেক্ষা করছেন। না পেলে হেঁটেই চলে যাচ্ছেন।     

তবে তারা এলাকার বিভিন্ন গলিগুলো এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। গলিগুলোতে ছাত্রলীগ বা যুবলীগের নেতাকর্মীরা মহড়া দিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

এর আগে শনিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে গোলাপবাগে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বক্তব্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দলের পক্ষে ১০ দাবি ঘোষণা করেম এবং আগামী ১৩ ও ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এরপর তিনি নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। 

গতকাল শুক্রবার রাত থেকেই সমাবেশ ঘিরে গোলাপবাগ মাঠ ও এর আশেপাশে বিএনপির লাখো নেতাকর্মী অবস্থান নেন। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সেখানে নেতাকর্মীরা জড়ো হন।

কমলাপুর, সায়েদাবাদ, গোলাপবাগ এলাকায় পুলিশের বেশ কিছু তল্লাশি চৌকি ছিল।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago