‘পুলিশ বাস আটকে যাত্রী ও চালকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে তাই বাস বন্ধ’

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। ছবি: স্টার

পুলিশ চেকপোস্টে যাত্রী ও চালকদের বকাবকি, হয়রানি করে। বাস আটকে রেখে যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তাই এরকম নানা কারণে আমরা বাস বন্ধ রেখেছি', বলে জানান সাভার পরিবহনের মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন।

আজ শনিবার ঢাকা-আরিচা ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কসহ সাভারের বিভিন্ন রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

সকালে থেকে মহাসড়কে যাত্রী সংখ্যাও ছিল কম। পরিবহন সংকটের কারণে এই অল্প সংখ্যক যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতে  বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। 

বলিয়ারপুর যাবার উদ্দেশে সাভার বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন জহির উদ্দিন। তিনি ৪০ মিনিট অপেক্ষা করেও বাস পাননি।

জহির সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খুব প্রয়োজন না হলে আজ বের হতাম না। জরুরি কাজে বলিয়ারপর যেতে হবে তাই বের হয়েছি। সড়কে তো গাড়িই নেই, যাত্রীও নেই। ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পেলাম না। এখন ভেঙে ভেঙে যেতে হবে।'

সড়কে যাত্রীবাহী বাস সংকটের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সাভার পরিবহনের মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চন্দ্রা থেকে নবীনগর হয়ে সদরঘাট রুটে সাভার পরিবহনের ২০০ বাস রয়েছে। কিন্তু একটি বাসও সড়কে নামানো হয়নি। সব বাসই বন্ধ রাখা হয়েছে।'

যাত্রী ও চালকদের হয়রানি
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের দিন ঢাকায় বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

বাস বন্ধ রাখার কারণ জানতে চাইলে সোহরাব হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ চলছে। গত ৩দিন ধরে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের গাবতলী ও জাহাঙ্গীরনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট পরিচালনা করছেন পুলিশ। পুলিশ চেকপোস্টে যাত্রী ও চালকদের বকাবকি, হয়রানি করে। বাস আটকে রেখে যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তাই এরকম নানা কারণে আমরা বাস বন্ধ রেখেছি।'

যাত্রীও কমে গেছে। কেউ চলাচল করছে না। শুধু আমাদের পরিবহনই না, সব পরিবহনই বন্ধ রয়েছে। শুধু ট্রাক-লেগুনা চলছে। আর পোশাক কারখনায় যেসব পরিবহনগুলো শ্রমিক আনা-নেওয়ায় নিয়োজিত থাকে সেই পরিবহন গুলো চলছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা উত্তর ট্রাফিক ইনস্পেক্টর আব্দুস সালাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মহাসড়কে যাত্রীবাহী পরিবহন নেই বললেই চলে। যাত্রীও নেই। ভয়ে হয়তো কেউ বের হচ্ছে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Those speaking against Tarique Rahman are enemies of democracy: Fakhrul

"Those who are doing this are carrying out activities to destroy Bangladesh"

1h ago