গোলাপবাগ মাঠ সম্পর্কে যা জানাল ডিএসসিসি

গোলাপবাগ মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে ডিএসসিসি। সম্প্রতি মাঠটি সংস্কার করা হয়। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

রাজধানীর ধলপুরে গোলাপবাগ মাঠে আগামীকাল শনিবারের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। কমলাপুর স্টেডিয়ামের কাছে অবস্থিত এই মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

বিএনপি আগামীকালের সমাবেশের জন্য এ মাঠ ব্যবহারে ডিএমপির অনুমতি পেলেও, বিকেল পর্যন্ত ডিএসসিসির অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ডিএসসিসির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ডিএসসিসি জোন ৫ এর অধীনে এ মাঠের আয়তন ২ দশমিক ৮০ একর।

ডিএসসিসি সূত্র জানায়, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নির্মাণসামগ্রী রাখার কারণে মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। পরে প্রায় ১৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মাঠটি সংস্কার করা হয়।

ডিএসসিসির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এ মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা হয়। মাঠটিতে আগামী মাসে মেয়র কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করার কথা। 

টুর্নামেন্টের জন্য ইতোমধ্যে মাঠে ক্রিকেট পিচ তৈরি করা হয়েছে। সীমানা প্রাচীর আছে মাঠটির। এ মাঠে দুটি গ্যালারি আছে। গ্যালারিতে ২ হাজার দর্শক বসতে পারে। মাঠের সঙ্গে ১০টি দোকান ও একটি লাইব্রেরি আছে।

বিএনপিকে আগামীকালের সমাবেশের জন্য এ মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। তবে মাঠ ব্যবহারে বিকেল পর্যন্ত ডিএসসিসির অনুমতি নেওয়া হয়নি। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

তবে মাঠে একটি প্যাভিলিয়ন আছে উল্লেখ করে সেটি সমাবেশের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওই কর্মকর্তা।

মাঠে ঠিক কতজন লোক অবস্থান করতে পারবে, তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে। কিন্তু মাঠের দায়িত্বে থাকা শামীম হোসেন ডেইলি স্টারকে জানান, এ মাঠে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অবস্থান করতে পারে।

সংলগ্ন এলাকার ফেরিওয়ালা নাজিমের মতে, মাঠটিতে অন্তত ১ লাখ লোকের জায়গা দেওয়া যায়।

ডিএসসিসির চিফ এস্টেট অফিসার রাসেল সাবরিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপি ডিএমপির কাছ থেকে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বলে আমরা শুনেছি। তবে আমাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।'

বিএনপি তাদের কাছে আবেদন করলে, ডিএসসিসি মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি দেখা হচ্ছে, খোঁজ নিচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Remittances grow 3% in January

Migrants sent home $2.18 billion in the first month of 2025

3h ago