দুর্নীতির দায়ে আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট কির্চনারের ৬ বছরের কারাদণ্ড

আর্জেন্টিনার আদালত দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে কির্চনারকে এক বহুল আলোচিত দুর্নীতি মামলায় দোষী করে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। ছবি: রয়টার্স
আর্জেন্টিনার আদালত দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে কির্চনারকে এক বহুল আলোচিত দুর্নীতি মামলায় দোষী করে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। ছবি: রয়টার্স

আর্জেন্টিনার আদালত দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে কির্চনারকে এক বহুল আলোচিত দুর্নীতি মামলায় দোষী করে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

এছাড়াও, এই প্রভাবশালী রাজনীতিবিদকে তার পদের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছে।

আজ বুধবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার আদালত এই রায় দেন।

কির্চনার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে 'সাজানো ঘটনা ও রূপকথা' হিসেবে আখ্যা দিয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।

সরকারি কর্মকর্তাদের দায়মুক্তির কারণে তাকে আপাতত কারাবরণ করতে হবে না বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

৩ বিচারকে নিয়ে গঠিত প্যানেল কির্চনারের বিরুদ্ধে আনা সরকারি কাজে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে রায় দেন।

২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকার সময় এ দুর্নীতির ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। তবে তিনি একটি অপরাধমূলক সংগঠনের প্রধান ছিলেন—এমন অপর অভিযোগ নাকচ করেন আদালত।

গত আগস্টে কৌঁসুলিরা তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড ও রাজনীতি থেকে আজীবন নিষিদ্ধের অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

কৌঁসুলিদের অভিযোগ, সরকারি কাজের ঠিকাদারি চুক্তিগুলো কির্চনার তার এক ব্যবসায়িক সহযোগীকে দেন। তিনি পরে এসব কাজ থেকে পাওয়া অর্থের একটি অংশ কির্চনার ও তার প্রয়াত স্বামী ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট নেস্তর কির্চনারকে দেন।

এই মামলার প্রধান কৌঁসুলি এই ঘটনাকে 'খুব সম্ভবত দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি' হিসেবে অভিহিত করেন।

তবে কির্চনারের সমর্থকদের মতে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

আদালতের এই রায় আসার কয়েক মাস আগেই কির্চনারকে তার বাড়ির সামনে এক আততায়ী হত্যার চেষ্টা করেন।

গত সেপ্টেম্বরে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আয়ার্সয়ে এক ব্যক্তি ভাইস প্রেসিডেন্টের মাথার দিকে বন্দুক তাক করে গুলি ছোঁড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ঘটনাক্রমে বন্দুকটি সেই মুহূর্তে অকেজো হয়ে পড়লে প্রাণে বেঁচে যান কির্চনার।

এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে এবং ফার্নান্দেজ দে কির্চনারের প্রতি জনসমর্থন বেড়ে যায়।

 

Comments