জার্সির আদলে লুঙ্গি, বিক্রিতে এগিয়ে আর্জেন্টিনা

ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দলের জার্সির আদলে লুঙ্গি। ছবি: আমানত শাহ লুঙ্গির সৌজন্যে

কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে জার্সির পর এবারে বাজারে এসেছে জার্সি ও পতাকার রংয়ের সঙ্গে মিল রেখে লুঙ্গি। লুঙ্গি তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান ও বিক্রেতারা জানিয়েছে দেশীয় বাজারে ব্রাজিল ও অন্যান্য দেশের তুলনায় আর্জেন্টিনার লুঙ্গির চাহিদা বেশি।

বিশ্বকাপ উপলক্ষে মেসার্স হেলাল অ্যান্ড ব্রাদার্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আমানত শাহ লুঙ্গি আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেনের জার্সির সঙ্গে মিল রেখে লুঙ্গি বাজারে এনেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ফ্যান লুঙ্গি। 

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী অন্তর আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যুব সমাজের মধ্যে লুঙ্গি জনপ্রিয় করতে আমরা কাজ করছি। আমাদের দেশে ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে আগ্রহ একটু বেশি। আমাদের পরিচালক রেজাউল করিম এটা নিয়ে পরিকল্পনা করেন। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নমুনা লুঙ্গি তৈরি করা হয়। কোনো দেশের পতাকার অবমাননা না করে এবং বিশ্বকাপ শেষেও যাতে এসব লুঙ্গি পরা যায় সেভাবেই ডিজাইন করা হয়।'

জার্সির আদলে তৈরি লুঙ্গি দেখাচ্ছেন সাভারের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার একজন বিক্রেতা। ছবি: সুমন আলী

অন্তর আহমেদ বলেন, 'প্রথমে অল্প কিছু লুঙ্গি তৈরি করে বাজারে ছাড়া হয়। ক্রেতাদের দিক থেকে ভালো সাড়া পাওয়ায় ৫ হাজার লুঙ্গি তৈরি করে নরসিংদীর বাবুরহাটে তোলা হয়। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার, শনিবার এই ৩ দিন হাট বসে। কয়েক মিনিটেই ৫ হাজার লুঙ্গি শেষ হয়ে যায়। আমরা ফেসবুকেও প্রচারণা চালাই। সেখানেও ভালো সাড়া পাই। এরপর আরও ১০ হাজার লুঙ্গি তৈরি করা হয়। সামনে লুঙ্গি নিয়ে আমাদের আরও বিভিন্নভাবে কাজ করার ইচ্ছে আছে।'

'আমরা যে লুঙ্গি তৈরি করেছি সেগুলোর মধ্যে ৭৫ শতাংশ আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের এবং বাকি ৩০ শতাংশ জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেনের। ব্রাজিলের তুলনায় আর্জেন্টিনার লুঙ্গির চাহিদা ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি,' তিনি যোগ করেন।

সাভার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার রয়েল ভিশন ফেবরিকসের সত্ত্বাধিকারী আওলাদ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ২০টি আর্জেন্টিনার এবং ২০টি ব্রাজিলের লুঙ্গি এনেছিলাম। ১০ দিনে ১০টি আর্জেন্টিনার এবং ৫টি ব্রাজিলের লুঙ্গি বিক্রি করেছি। প্রথমবার তাই একটু কম তুলেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Record toll collection on Padma and Jamuna bridges

Padma Bridge generated a record toll revenue of Tk 54.32 crore, while Jamuna Tk 41.81 crore

1h ago