‘আপনারা ঢাকা দখল করবেন, আর আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাব?’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের যেখানে সূচনা, ৭ মার্চের ঘোষণা, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেখানে আত্মসমর্পণ করেছে, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মির্জা ফখরুলের পছন্দ না। তিনি চান পল্টন, ৩৫ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা। অথচ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেগম জিয়া অনেক প্রোগ্রাম করেছেন। গত নির্বাচনেও তিনি এখানে সমাবেশ করেছেন।

আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ফখরুলের কেন পছন্দ না। ধরা পড়ে গেছে। স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে আপনারা বিশ্বাস করেন না। এজন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আপনাদের পছন্দ না।'

তিনি বলেন, 'তারা (বিএনপি) বলে, এখানে অঘটন ঘটবে, খাঁচার মতো। এটা খাঁচা? বেগম জিয়া তাহলে এখানে মিটিং করলেন কেন? এটা খাঁচা আর পল্টনের ৩৫ হাজার স্কয়ার ফিট আপনাদের পছন্দ। কেন পছন্দ? আমরা জানি। অঘটন আর কেউ ঘটাবে না। অঘটন ঘটাবেন, আগুন নিয়ে আসবেন, লাঠি নিয়ে আসবেন, বোমা নিয়ে আসবেন, এজন্যই পল্টন আপনাদের পছন্দ। সেখানে একটা ঘর আছে, নিরাপদে থাকবেন।'

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আপনারা ঢাকা দখল করবেন, আর আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাব? আওয়ামী লীগ পল্টনকে ভয় পায় না। ভয় পায় আপনাদের আগুন সন্ত্রাসকে। সেই বদ মতলব আপনাদের আছে, সেজন্যই পল্টন দরকার।'

'আজকে শুনলাম বিএনপি নেতাকর্মীরা হাড়ি-পাতিল, বিছানা-বালিশ, লেপ-কম্বল, মশার কয়েল নিয়ে এসে তাঁবু খাটিয়েছেন। কেন- আমরা তো এখানে গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করিনি। আমি অনুরোধ করেছি পরিবহন নেতাদের। তারা আমাকে বলেছেন, তারা কথা রাখবেন। তাহলে ভয় কীসের? ছাত্রলীগের সম্মেলন ৬ তারিখে নিয়ে আসা হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আপনাদের ধারে-কাছেও যাবে না', বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'জানি- ১০ ডিসেম্বর চলে গেলে অবরোধ দেবেন, আগুন সন্ত্রাস উস্কে দেবেন। আমরা কি চুপ করে থাকব?'

এসময় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'কিছু মিডিয়া তাদের (বিএনপি) বন্ধু, আমাদের নিউজ দেয় না। এই যে এত বড় সমাবেশ, অথচ কোন ছবি দেখবেন না। অথচ মির্জা ফখরুল এখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিলে পুরো ছবি কোনো কোনো মিডিয়ায় আসতো। আমাদের পছন্দ করেন না। কথা বলেছি ঢাকা ক্লাবে, অনুরোধ করেছি আমাদের বেশি চাই না। আমাদের ডিউ (প্রাপ্য) কভারেজটুকু দেন। আমরা ডিউ চাই, কিন্তু ডিউটা আমাদের দেয় না।'

এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি একসঙ্গে ঘোষণা হবে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

6h ago