গ্যাসের দামবৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে: নসরুল হামিদ

সেমিনারে কথা বলছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

গ্যাসের দামবৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে উল্লেখ করে করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, সেই কারণে এখন গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের অফার আসছে।

আজ শনিবার রাজধানীতে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'এনার্জি ট্রানজিশন: গ্লোবাল কনটেক্সট অ্যান্ড বাংলাদেশ ' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নসরুল হামিদ বলেন, 'গ্যাসের দামবৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। কারণ, এখন আমাদের কাছে ডিপ সিতে (গভীর সমুদ্রে) এক্সেপ্লোরেশনের জন্য অফার আসছে। আগে কোনো পার্টিই পাওয়া যায়নি। বদরূল ইমাম সাহেব ডেইলি স্টারে একটা মতামতে বলতেছেন যে, কেন আমরা ডিপ সিতে এক্সপ্লোরেশনে গেলাম না তখন। কোনো পার্টিই তো ছিল না তখন। আমরা টেন্ডার দিয়েছি, কেউ আসেইনি।... কারণ সেসময়ে গ্যাসের দাম অনেক কম ছিল।'

'অনেক সময় বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন না যে, এখানে একটা বিজনেস কেস ইনভলবড। এটা এমন না যে গ্যাস পেলাম, কালকে গিয়ে ঝাপায়ে পড়ব। বিজনেস কেসটা হলো খনন করলে সেটা ওই কোম্পানির জন্য লাভজনক হবে কি না। ফিসিবিলিটি ইজ দ্য মেইন থিং। তো ১০ বছর আগে কেন হয়নি? এই কারণেই হয়নি। ইট ওয়াজ নট ফিসিবল। আইওসি ২ ডলারে গ্যাস দেয়। আর সেখানে গিয়ে গ্যাস এক্সপ্লোরেশন করতে গেলে লাগবে ৭ ডলার। তো আমি যদি বলি ৫ ডলার দেবো, কেউ রাজি হবে? কেউ রাজি হয়নি। এটা বুঝতে হবে। এখন দাম বেড়েছে, এখন অনেক মানুষ আসছে', বলেন তিনি।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, 'আমি কাউকে দোষ দেই না। যারা থিওরি নিয়ে কাজ করেন, তারা এ বিষয়টি বাইরে গিয়ে চিন্তা করেন না যে, কেন আসে না। কারণ খনন কোম্পানি ব্যবসাও করতে চাচ্ছে। তারা এখানে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে, ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। তারা তো বসে নেই যে ২ ডলার করে গ্যাস বিক্রি করবে। তারা চিন্তা করে, আগামী ১০ বছর লাগবে আমার গ্যাস এক্সপ্লোরেশন করে আসতে, সেসময় দাম কত হবে, সেসময় যদি দাম ড্রপ করে, তাহলে কী হবে। আদৌ কি চাহিদা থাকবে কি না। এখানে নানা জটিলতা আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

9h ago