এইচআইভি সংক্রমণ কমাতে সচেতনতামূলক কর্মসূচির বিকল্প নেই

এইচআইভি সংক্রমণের হার কমাতে হলে সচেতনতামূলক কর্মসূচির কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব সংক্রমণের হার বাড়িয়ে দিতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ব এইডস দিবসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকসহ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যে এসব কথা উঠে আসে।

তারা জানান, এইচআইভি শনাক্ত হওয়ার পর রোগী যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করবেন রোগীর দীর্ঘদিন সুস্থ থাকার সম্ভাবনা তত বাড়বে।

চমেক হাসপাতালের এআরটি সেন্টারে সরকারিভাবে এইচআইভি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। কেন্দ্রটি চমেক হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগ পরিচালনা করে।

চমেক হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যদিও সম্প্রতি বছরগুলোতে চট্টগ্রামে এইচআইভি সংক্রমণের হার বেড়েছে, তবে সুখবর হলো প্রায় সব রোগীই চিকিৎসা নিতে আসছেন।

'অভিজ্ঞতায় দেখেছি আজ থাকে ১০ বছর আগেও সামাজিক ভীতির কারণে এইচআইভি সংক্রমণ ধরা পড়লেও রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসতেন না,'

তিনি বলেন, 'এমনকি কিছু ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেও তারা এটি গোপন করতেন।

'তবে, এখন এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে এবং রোগীরা চিকিৎসার জন্য আসছেন।'

'যখন একজন রোগী চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে আসবেন, তখন তিনি এবং তার পরিবারের উভয়েই উপকৃত হবেন,' বলেন তিনি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল ট্রিটমেন্ট (এআরটি) সেন্টারের তথ্যে জানা যায়, ২০২০ সালে ৩০ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়, মারা যান ১ জন। পরের বছর ২০২১ সালে নতুন শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ জন এবং সেই বছর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয় ৬ জন। এই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এই সময়ে ১৩ জন রোগী মারা গেছে।

বাংলাদেশ ডার্মাটোলজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি ডা. সিরাজুল আরও বলেন, 'আমার একজন রোগী আছেন যিনি ১৯৯৪ সালে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিন্তু ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি নিয়মমত ওষুধ খেয়ে এখনও ভালো আছেন।'

'এইচআইভির কোনো সম্পূর্ণ নিরাময় নেই তবে একজন রোগী যদি সংক্রমিত হওয়ার পরপরই চিকিৎসা গ্রহণ করেন, তাহলে অনেক বছর ধরে সুস্থ থাকতে পারেন,' তিনি বলেন।

চমেক হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, কোনো রোগী চিকিৎসা নিতে এলে চিকিৎসক রোগীকে সচেতন করেন যাতে তার মাধ্যমে পরিবারের অন্য সদস্যরা সংক্রমিত না হন।

তিনি বলেন, 'এইচআইভি মূলত ভাইরাস সংক্রামিত রোগ এবং আমাদের দেশে দেখা যায় যে বিশেষ করে যৌনকর্মী, মাদকাসক্ত ব্যক্তি এবং প্রবাসী শ্রমিকরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি।'

Comments

The Daily Star  | English

Renewable ambitions still mired in uncertainty

Although the Awami League government made ambitious commitments to renewable energy before being ousted by a mass uprising in August last year, meeting those lofty goals remains a distant dream for the country.

11h ago