ব্রুনাই থেকে বছরে ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি আনার প্রস্তাব
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৩ সালের প্রথম দিকে ব্রুনাই থেকে এক থেকে দেড় মিলিয়ন মেট্রিক টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পেতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বন্দর সেরি বেগাওয়ানে বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দারুসসালামের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ বছরের চুক্তি হতে পারে।'
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নসরুল হামিদ এবং ব্রুনাইয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপমন্ত্রী ইয়াং মুলিয়া দাতো সেরি পাদুকা আওয়াং হাজি মাতসাতেজো বিন সোকিয়াও তার দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে ঢাকা ও বন্দর সেরি বেগাওয়ান উভয়েরই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্রুনাই থেকে বকেয়া পরিশোধে গড়ে দুই লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে নতুন চুক্তি সই হবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে উভয় দেশ জ্বালানি খাতে সহযোগিতার পরিধি বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশ ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে ব্রুনাই থেকে তিন লাখ ২৫ হাজার ৯৭৫ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে ব্রুনাই ভিত্তিক সাপ্লাই কোম্পানি পিবি ট্রেডিং সেন্ডিরিয়ান বেরহাদ থেকে একটি শর্তের কারণে ডিজেল আমদানি করা সম্ভব হয়নি। শর্তটি হলো- নিজস্ব শোধনাগার থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, এলএনজি ও অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতার বিষয়ে ব্রুনাইয়ের সুলতানের ঢাকা সফরের সময় ১৬ অক্টোবর ঢাকা ও বন্দর সেরি বেগাওয়ানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
ব্রুনাইয়ের প্রধানমন্ত্রীর স্থায়ী সচিব ইয়াং মুলিয়া আজহার বিন হাজি ইয়াহিয়া, জ্বালানি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম বিন হাজি ইসমি, পেট্রোলিয়াম কর্তৃপক্ষের পরিচালক আদ্রিয়ান ওং কোয়াই মিং, জ্বালানি বিভাগের জ্বালানি সমন্বয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের
ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হাজি মোহাম্মদ জাকি বিন হাজি হাসান আসশারি ব্রুনাইয়ের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ চৌধুরী এবং ব্রুনাইতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান।
Comments