বিএনপির সমাবেশ: ‘ধর্মঘট ডাকছে না’ কুমিল্লার পরিবহন মালিক সমিতি

কুমিল্লা
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে কোনো পরিবহন ধর্মঘট হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কুমিল্লা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কবির আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে তারা কোনো ধর্মঘট ডাকবে না।

কবির আহমেদ বলেন, 'তারা (বিএনপি) স্বাভাবিকভাবে সমাবেশ করবে, আমরা ধর্মঘটে যাবার প্রয়োজন দেখছি না।' 

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও সমাবেশ ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক সাবেক এমপি হাজী আমিন-উর রশিদ ইয়াছিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। দূরের নেতা-কর্মীদের জন্য নগরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ যেসব দাবিতে আমাদের সমাবেশ হবে, এতে জনতার ঢল নামবে। যা কোনো সংখ্যায় নির্ণয় করা যাবে না। এক কথায় কুমিল্লার সমাবেশ হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ।'

বিএনপির কেন্দ্রীয় ও দলটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া জেলার পরিবহন নেতাদের শুভ বুদ্ধি উদয় হয়েছে উল্লেখ করে তাদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, 'কুমিল্লার ওপর দিয়ে মহাসড়ক, রেলসড়ক গেছে। ধর্মঘট দিলে আমাদের সমাবেশ সফল হলেও মানুষের দুর্ভোগ বাড়তো। এ পর্যন্ত যেখানেই সরকার সমর্থক পরিবহন নেতারা ধর্মঘট দিয়েছেন, সেখানেই সমাবেশে লোক সমাগম আরও বেশি হয়েছে।'

বিএনপির কেন্দ্রিয় সহসভাপতি বরকত উল্লাহ বুলু গতকাল বুধবার সমাবেশের প্রস্তুতি দেখতে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে গিয়ে বলেন, 'কুমিল্লা নামে বিভাগ ঘোষণা না করায় এই সমাবেশে অন্তত ৫ লাখ মানুষ বেশি সমেবেত হবে। আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে প্রস্তাবিত মেঘনা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে তা কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণা করা হবে।' 

কুমিল্লা জেলার পরিবহন ব্যবসায়ী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাভেল বলেন, 'কুমিল্লার পরিবহন মালিকেরা কোন ধর্মঘট ডাকছে না।' 

এদিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিউলি রহমান তিন্নি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কুমিল্লায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সমাবেশের দিনই সমাবেশ স্থলে আসতে হবে। পূর্ব থেকে সমাবেশ স্থলে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়নি।'

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কুমিল্লা জেলা শহরটি ঢাকা চট্রগ্রামের মধ্যবর্তী হওয়ায় এবং সিলেট নোয়াখালী চাঁদপুরের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বলে দক্ষিণ পূর্ব বাংলাদেশের ১৭টি জেলার যোগাযোগ ব্যাহত হতো। 

এ পর্যন্ত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ, রংপুর, বরিশাল, খুলনা ও সিলেটে প্রতিটি জায়গায় সমাবেশের পূর্বে আশেপাশের জেলা গুলোয় স্থানীয় পরিবহন মালিকেরা ধর্মঘট ডেকেছে। কিন্তু কুমিল্লাতেই এবার ব্যতিক্রম হলো। 

Comments

The Daily Star  | English

Mindless mayhem

The clashes between students of three colleges continued yesterday, leaving over 100 injured in the capital’s Jatrabari.

5h ago