বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে ধামরাইয়ে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আজ সকালে ফ্যাক্টরির সামনে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। ছবি: সংগৃহীত

বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকার ধামরাইয়ে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। 

আজ মঙ্গলবারে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার জয়পুরা এলাকার মমো ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার প্রায় ১ হাজার শ্রমিক বিক্ষাভ করেন।

শ্রমিকরা জানান, কারখানাটি পরিচালনায় শ্রমিকদের ছুটির টাকা ও মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকা দেওয়া হয় না; কারণ ছাড়া যেকোনো সময় শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়; শ্রমিকদের মারধর ও গালিগালাজ করা হয় এবং শ্রমিকদের বেতন দিতে দেরি করা হয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শ্রমিকরা কারখানায় কর্মবিরতি পালন করেন। কর্মবিরতি চলাকালে মালিক পক্ষ অশ্বাস দেন কারখানা সঠিক নিয়মে পরিচালনা করা হবে। কিন্তু আজ কারখানাটি ১৩/১ ধারায় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। 

এ ছাড়া কারখানাটি খুলে দিয়ে শ্রমআইন অনুযায়ী পরিচালনার দাবি জানান শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দু বেপারী (বিন্দু) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শ্রমআইন অনুসরণ করে কারখানা পরিচালনার দাবিতে গতকাল শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলাকালে কারকানার মালিক কারখানায় এসে শ্রমিকদের আশ্বাস দেন শ্রমিকদের  সবে দাবি মেনে নেওয়া হবে। কিন্তু আজ সকালে শ্রমিকরা কারখানায় কাজে যোগদান করতে গেলে শ্রমিকরা কারখানার গেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান।'

তিনি আরও বলেন, 'কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়। শ্রমিকরা এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে কারখানার আশেপাশে অবস্থান নিয়েছে।'

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মালিকপক্ষ কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেছে। কারখানায় ১ হাজারের মতো শ্রমিক ছিল। শ্রমিকরা এখন কারখানার সামনে অবস্থান করছেন।' 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কী কারণে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সে বিষয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি আমি বলতে পারব না।'

এ বিষয়ে জানতে মমো ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান মামুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

16m ago