লোহালিয়া সেতু নির্মাণে ঢাকা-গলাচিপা নৌরুট বন্ধ, বিকল্প রুটের দাবি

পটুয়াখালী-দশমিনা সড়কের লোহালিয়া নদীর ওপর সেতু নির্মিত হচ্ছে। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

পটুয়াখালী-দশমিনা সড়কের লোহালিয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণে করা হচ্ছে। এজন্য গত ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা-গলাচিপা নৌরুট ৩ মাসের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। ফলে, নৌ-চলাচলে বিকল্প রুটের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।

আজ রোববার দুপুরে গলাচিপা পৌর শহরে গলাচিপা বণিক সমিতি, ঢাকা-গলাচিপা-রাঙ্গাবালী নৌরুটে চলাচলকারী ব্যবসায়ী, যাত্রী ও শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধন শেষে এ রুটে লঞ্চসহ সব ধরণের নৌযান চলাচল অব্যাহত রাখার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

নৌ-চলাচলে বিকল্প রুটের দাবিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গলাচিপা-ঢাকা নৌ রুট বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন উপকূলীয় গলাচিপা, রাঙ্গাবালী (আংশিক) কলাপাড়ার (আংশিক) নৌরুট। শুধু যাত্রী চলাচল নয় এ এলাকায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ না থাকায় নৌ-পথ নির্ভর বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যে নেমে এসেছে স্থবরিতা। প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে আসায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর।

তারা আরও বলেন, গলাচিপা, রাঙ্গাবালীর একাংশ, কলাপাড়ার একাংশ এলাকায় কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩২টি পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল করে। এছাড়া দোতলা লঞ্চে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫-৭ কোটি টাকার মালামাল আনেন ব্যবসায়ীরা। প্রশাসন ৩ মাসের জন্য পটুয়াখালীর লোহালিয়া ব্রিজ নির্মাণের জন্য এ রুটটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে যদি সেতুর পাশ দিয়ে লঞ্চ চলাচলে ছোট ক্যানেল করে দিতো, তাহলে এ সমস্যা হতো না।

উল্লেখ্য, পটুয়াখালী শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লোহালিয়া নদীর ওপর ১০ বছর আগে ২০১২ সালে শুরু হয়েছিল লোহালিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ। দীর্ঘ সময়েও শেষ হয়নি ৫৭৬ দশমিক ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৭ দশমিক ৩২ মিটার প্রস্থের এ সেতুর কাজ।

পটুয়াখালী এলজিইডি সূত্র জানায়, এলজিইডি ২০১২ সালে পটুয়াখালী-বাউফল সড়কের লোহালিয়া নদীর ওপর একটি গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। তখন সেতুর হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ছিল ৩৫ মিটার এবং ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ৭ দশমিক ৩ মিটার, নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সেতুর ৫৪ শতাংশ কাজ চলমান থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে পায়রা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ সেতু নির্মাণ কাজে আপত্তি জানায়। ফলে, ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
British Bangladeshi Labour Party lawmaker and  minister Tulip Siddiq

Tulip seeks meeting with Yunus over corruption allegations, The Guardian reports

Tulip, in a letter to the chief adviser, asked for a chance to discuss the ongoing controversy during his trip to London

9m ago