যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ৪ বাংলাদেশি আমেরিকানের জয়
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে ৪ বাংলাদেশি আমেরিকান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
বিজয়ীরা হলেন, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটর শেখ রহমান (ডেমোক্রেট) ও নাবিলা ইসলাম (ডেমোক্রেট), কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের সিনেটর মো. মাসুদুর রহমান (রিপাবলিকান) ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ আবুল খান (রিপাবলিকান)।
নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা বাকি থাকলেও এই ৪ আসন থেকে জয় নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশি আমেরিকানরা।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন বাংলাদেশি আমেরিকান শেখ রহমান। এ অঙ্গরাজ্যের প্রথম মুসলমান সিনেটর হিসেবে ৬ বছর আগে নির্বাচিত হয়েছিলেন কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ রহমান (রিপাবলিকান)।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন নাবিলা ইসলাম। নোয়াখালীর সন্তান নাবিলা হলেন জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটে প্রথম মুসলিম নারী এবং দ্বিতীয় বাংলাদেশি সিনেটর।
কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের সিনেট নির্বাচনে সিনেট ডিস্ট্রিক্ট-৪ থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির বাংলাদেশি আমেরিকান মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বিপুল ভোটে জয়ী হন। চাঁদপুরের সন্তান মাসুদুর রহমান এবারই প্রথম স্টেট সিনেটের সদস্য হলেন।
নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে পঞ্চম মেয়াদের জন্য বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন পিরোজপুরের সন্তান আবুল খান।
মধ্যবর্তী নির্বাচনে ৪ বাংলাদেশি আমেরিকানের বিজয়ে উল্লসিত যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিজয়ীদেরকে বিবৃতি দিয়ে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছে মূলধারার রাজনীতিবিদ, রাজনীতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কমিউনিটি সংগঠনগুলো।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশি আমেরিকানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একইসঙ্গে তিনি ভোটারদেরও ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আশা প্রকাশ করে বলেন, 'এই ৪ বাংলাদেশি-আমেরিকান বহুজাতিক সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে অবদানের পাশাপাশি তারা তাদের মাতৃভূমির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নেও কাজ করবেন।'
মধ্যবর্তী নির্বাচনে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ৩৫টি ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের সবকয়টিতে ভোট হয়। এ ছাড়া, ৩৬টি স্টেটে গভর্নর পদ ও সবকয়টি অঙ্গরাজ্যের আইন সভায়ও নির্বাচন হয়।
Comments