মিচেলের ফিফটিতে নিউজিল্যান্ডের ১৫২ রানের পুঁজি

শুরুতেই আঘাত হানেন শাহিন আফ্রিদি। দারুণ ফিল্ডিংয়ের পর বল হাতেও মাঝের ওভারে কিছুটা চাপ জারি রাখেন শাদাব খান, মোহাম্মদ নাওয়াজও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পান উইকেট। কঠিন পরিস্থিতি সামলে কেইন উইলিয়ামসন প্রতিরোধ গড়লেও ঝড় তুলতে পারছিলেন না। পরে ড্যারেল মিচেল নেমে ঝড়ো ফিফটিতে আনেন লড়াইয়ের পুঁজি।

বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে  ১৫৩  রানের লক্ষ্য দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৪ উইকেটে ১৫২ রানের সংগ্রহ পেতে দলকে টেনেছেন আগের বিশ্বকাপে ফাইনালে তোলার নায়ক মিচেল। ৩৫ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ৫৩ রান করেন তিনি। অধিনায়ক উইলিয়ামসন ৪২ বলে করেন ৪৬ রান।

শাহিনের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে শুরু করেছিলেন ফিন অ্যালেন। পরের বলে এলবডব্লিউ থেকে বাঁচেন রিভিউ নিয়ে। তৃতীয় বলে আর রক্ষা হয়নি। এবার শাহিনের বল আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউতে বিদায় তার।

ডেভন কনওয়ে শুরুটা করেছিলেন ভালো। উইলিয়ামসনকে নিয়ে জুটি গড়ার পথে ছিলেন তিনি। পাওয়ার প্লেতে উড়তে না পারলে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত লাগছিল তাকে। কনওয়ে কাটা পড়েন শাদাবের দারুণ থ্রোতে।

মিড অফে ঠেলে প্রান্ত বদলে করতে গিয়েছিলেন। নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে আসতে গিয়ে ডাইভ দিয়ে পারেননি। অল্পের জন্য ক্রিজে পৌঁছার আগেই শাদাবের থ্রো ভেঙে দেয় তার স্টাম্প।

গ্লেন ফিলিপিস এরকম পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দলের ছবি বদলে দিয়ে পারদর্শী। তিনি এবার পারেননি। মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে তার হাতেই সহজ ক্যাচে বিদায় নেন। উইকেট হারানোর পাশাপাশি প্রথম ১০ ওভারে আসেনি পর্যাপ্ত রান।

১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৫৯ রান ছিল কিউইদের বোর্ডে। এরপর মিচেলের সঙ্গে গড়ে উঠে উইলিয়ামসনের ৫০ বলে ৬৮ রানের জুটি। তাতে অবশ্য  মিচেলই বেশি আগ্রাসী। জুটিতে ২৫ বলে তিনি যোগ করেন ৩৮। কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়ার অবস্থা তৈরি হয় ব্ল্যাক ক্যাপসদের।

১৭তম ওভারে শাহিনের স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হল ৪২ বলে ৪৬ রান করা নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। ৩২ বলে ফিফটি স্পর্শ করা মিচেলের কারণেই পরে দেড়শো ছাড়ায় কিউইদের পুঁজি। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৫৯ রান করা নিউজিল্যান্ড পরের ১০ ওভারে তুলতে পারে ৯৩ রান। শেষ ২ ওভার থেকে ১৮ রানের বেশি আসেনি।

এই রান নিয়ে ম্যাচ জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে বোলিংয়ে থাকতে হবে ঝাঁজালো, ফিল্ডিং হতে হবে নিখুঁত।

Comments

The Daily Star  | English

The silent emergency: Politicisation of our healthcare sector

The erosion of trust in doctors is creating crisis for the healthcare sector.

6h ago