এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের একটি প্রশ্নে মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কে এম রাব্বানীকে প্রধান করে আজ মঙ্গলবার এই কমিটি করা হয়েছে।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঢাকা বোর্ড থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। সাম্প্রদায়িকতা বিষবাষ্প ছড়ানো বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকরা জড়িত কিনা এই বিষয়টি তদন্ত করতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ৩-৭ কর্ম দিবস সময় দেওয়া হবে।'

'তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে', তিনি যোগ করেন।

এর আগে সেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরিশোধনকারীদের চিহ্নিত করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন—প্রশ্নপত্র প্রণেতা ঝিনাইদহের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল, প্রশ্নপত্র পরিশোধনকারী নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজুদ্দিন শাওন, সাতক্ষীরা সহকারী মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

গত রোববার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দিয়ে সারা দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্রের সৃজনশীল অংশে একটি প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ ওঠে।

প্রশ্নপত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নে সনাতন ধর্মের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের বিষয় তুলে ধরা হয়।

সেখানে বলা হয়, 'নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির একটি অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙ্গে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।'

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

8h ago