রাশিয়াকে ড্রোন দেওয়ার কথা স্বীকার করল ইরান

প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় ড্রোন সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেছে ইরান। 
সম্প্রতি ড্রোন  উৎপাদনে ইরান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
সম্প্রতি ড্রোন উৎপাদনে ইরান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় ড্রোন সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেছে ইরান। 

তবে তেহরান বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে মস্কোকে সীমিত সংখ্যক ড্রোন পাঠানো হয়েছে। 

রয়টার্স জানায়, গত শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দোল্লাহিয়ান এ কথা স্বীকার করেছেন। 

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। 

এর আগে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করে তেহরান।

শনিবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দোল্লাহিয়ান বলেন, 'ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করতে ইরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহ করেছে বলে পশ্চিমা কিছু দেশ হট্টগোল শুরু করেছে- ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অংশটি সম্পূর্ণ ভুল।'

'তবে ড্রোন পাঠানোর অংশটি সঠিক এবং ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েকমাস আগে আমরা রাশিয়ায় অল্প সংখ্যায় ড্রোন পাঠিয়েছিলাম,' বলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, তেহরান ও কিয়েভ দুই সপ্তাহ আগে ইউক্রেনে ইরানি ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু শেষ মূহুর্তে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত হন নি।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেন তাদের বেসমরিক অবকাঠামোতে বিশেষ করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বাঁধে রাশিয়া একের পর এক ড্রোন হামলার কথা জানায়। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ওই সব হামলায় ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩ ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। 

এদিকে ইউক্রেনে হামলা চালাতে ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত মাসে রাশিয়াকে তার ড্রোন সরবরাহের জন্য ইরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের হামলার জন্য রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের অভিযোগে ৩ ইরানি সামরিক ব্যক্তিত্ব এবং একটি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ব্রিটেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago