শুষ্ক মৌসুমেও সিরাজগঞ্জে নদী ভাঙন, ১৫০ মিটার এলাকা বিলীন

রোববার সকাল থেকে নদী ভাঙন শুরু হয়। ছবি স্টার

প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা এসে গেছে। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে পানি কমতে থাকায় এ সময় শান্ত থাকে নদ-নদীগুলো। তবে নদীতে পানির প্রবাহ কমে গেলেও ভাঙন থামছে না সিরাজগঞ্জের নদী পাড়ের এলাকাগুলোতে।

শান্ত নদী হঠাৎ অশান্ত হয়ে উঠায় নতুন করে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচঠাকুরী এলাকার শাহজাহান মোড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যমুনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ১৫০ মিটার এলাকা।

গতকাল রোববার সকাল থেকে নদী ভাঙন শুরু হয়। এরপর বিকেল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করে। এতে ভাঙনের তীব্রতা কমলেও পুরোপুরি থামেনি।

ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, রোববার সকাল থেকেই নদীতে পানি ফুলে উঠে। ভাঙন শুরু হওয়ার আশঙ্কায় নদীপাড়ের সবাই ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে থাকে। ভাঙন এখনও পুরোপুরি না থামায় আতঙ্কে আছে নদীপাড়ের মানুষ।

বিকেল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করলে ভাঙনের তীব্রতা কমে। ছবি: স্টার

ছোনগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তীরের প্রায় ১৫০ মিটার এলাকা আকস্মিক নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে এ এলাকার ২০টির মতো বাড়ি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে।

ভাঙন থেকে বাঁচতে আরও প্রায় ৩০টি বাড়ি ও বেশকিছু দোকানপাট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এ এলাকায় যমুনা নদীর বাম তীরে চর জেগে উঠায় নদীর চ্যানেল ডান তীরে প্রসারিত হচ্ছে। এ কারণে নদীতে পানির প্রবাহ কম থাকলেও আকস্মিক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ১৫০ মিটার এলাকা বিলীন হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে রোববার বিকেল থেকেই জরুরিভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।

রনজিত কুমার সরকার আরও বলেন, 'যমুনা নদীর ডান তীরে মোট ১ হাজার ২০০ মিটার এলাকায় নদী তীর সংরক্ষণের কাজ চলমান। কাজ শেষ হলে এ এলাকায় ভাঙন থাকবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Magura child rape case trial begins; four indicted

The court has set April 27 for the next date of hearing in the case

11m ago