'দ্রুত চিকিৎসায় ৭০ শতাংশ স্ট্রোকের রোগী সুস্থ হয়'
দ্রুত নির্ণয় করতে পারলে ৭০ শতাংশের বেশি রোগীকে স্ট্রোকের মারাত্মক পরিণতি থেকে বাঁচানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আজ রোববার বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। চমেক হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে 'স্ট্রোক ব্যবস্থাপনায় নতুনত্ব কী' শীর্ষক মূল বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান।
তিনি বলেন, 'স্ট্রোক হলে দেরি না করে রোগীকে অবশ্যই স্ট্রোক সেন্টারে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ স্ট্রোক পরবর্তী প্রতি মিনিটে ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ব্রেনের কোষ মারা যায়। এতে মস্তিস্কের স্থায়ী ক্ষতি হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'মূলত আমাদের জীবনযাপনের পরিবর্তন এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপের কারণে স্ট্রোক বাড়ছে। স্ট্রোকের চিকিৎসা শতভাগ নিরাময়যোগ্য না হলেও নিয়মতান্ত্রিক চলাফেরা করে সুস্থ থাকা সম্ভব।'
'স্ট্রোক রোগীর পুনবার্সন প্রক্রিয়া নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। কারণ স্ট্রোকের চিকিৎসা খুবই দীর্ঘমেয়াদী। তবে বর্তমানে আমাদের নিউরোলজি ওয়ার্ডে আধুনিক চিকিৎসা শুরু করেছি। স্ট্রোকের লক্ষণ শুরু হওয়ার ৩ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের ওয়ার্ডে আসলে থ্রম্বোলাইটিক থেরাপির মাধ্যমে স্ট্রোক সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব। ইতোমধ্যে আমরা যতগুলো থেরাপি দিয়েছি, শতভাগ সফল হয়েছে। রোগীরা সুস্থ জীবন যাপন করছেন।'
চমেকের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মুহিতুল ইসলাম, ডা. প্রদীপ কুমার কায়স্থগীর, ডা. শিউলি মজুমদার, ডা. পঞ্চানন দাশ, সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম খন্দকার, ডা. মসিহুজ্জামান আলফা, ডা. তৌহিদুর রহমান, আনোয়ারুল কিবরিয়া, ডা. জামান আহম্মদ, ডা. একরামুল আজম শাহেদ, নিউরোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সীমান্ত ওয়াদ্দাদার ও রেজিস্ট্রার ডা. পীযুষ মজুমদারসহ আরও অনেকে।
আলোচনা সভার পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে।
Comments