ডিবির জলের শাপলা-শিশুর হাসি
শাপলার হাসির সঙ্গে বাঙালি পাঠকদের সম্ভবত প্রথমবারের মতো পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন খ্যাতনামা শিশুসাহিত্যিক রোকনুজ্জামান খান। হাসতে না জানাদের নানাবিধ হাসির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে তিনি লেখেন, 'কাজল বিলে শাপলা হাসে/হাসে সবুজ ঘাস।/খলসে মাছের হাসি দেখে/হাসে পাতিহাঁস।'
শিশু-কিশোর সংগঠক সবার প্রিয় দাদা ভাই রোকনুজ্জামান খানের কাজল বিলটা ঠিক কোথায়- তা জানা যায় না। তবে হেমন্তের শুরুতে ঋতুচক্রের এই পালাবাদলের সময় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তঘেঁষা ডিবি বিল, কেন্দ্রী বিল, হরফকাটা ও ইয়াম বিলে দিব্যি শাপলার হাসি চোখে পড়বে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশের এই বিলগুলো এখন রূপ নিয়েছে শাপলার রাজ্যে। বিলের জলে ফুটে থাকা অজস্র লাল শাপলা হার মানাচ্ছে সূর্যের আলোকেও। ভোরের আলোয় শাপলার হাসিতে আরও উদ্ভাসিত হয়ে উঠছে বিলগুলো।
গত কয়েক বছর ধরে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে একটি আকর্ষনীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ৪ বিলের সমন্বয়ে গড়া 'ডিবির হাওর' নামের এই জায়গাটি, যা হাসি ফুটিয়ে চলেছে এখানকার স্থানীয় শিশুদের মুখেও।
শাপলা ফোটার মৌসুমে প্রতিদিন জায়গাটিতে ভিড় করেন অজস্র দেশি-বিদেশি পর্যটক। বিলের জলে শাপলা-ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পালায় তাদের প্রতি হাসিমুখে ফুল কেনার আহ্বান জানায় এই ফুলেল শিশুরা।
পর্যটকরাও কখনো কখনো হাসিমুখেই এই শিশুদের কাছ থেকে কয়েক গোছা শাপলা কিনে নেন। তাতে একইসঙ্গে আনন্দ ও সংসারের খোরাকি জোটে এই শিশুদের।
সম্প্রতি জৈন্তাপুরের ডিবির হাওর এলাকা থেকে ছবিগুলো তুলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী শেখ নাসির।
Comments