সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হামলার আশঙ্কায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা

খুলনা নগরের ডাকবাংলো ও ফেরিঘাট মোড়ের মাঝামাঝি সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের একাংশ। ছবি: স্টার

খুলনায় বিএনপির সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলার আশঙ্কা করছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।

আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সংগঠিত হয়ে ৩১টি ওয়ার্ডে অবস্থান নিয়েছে। নগরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। কয়েকটি এলাকায় সশস্ত্র মহড়াও দিতে দেখা গেছে তাদের। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধর করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ইতোমধ্যে দুপুর ১২টার দিকে খুলনা রেলস্টেশন এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে

নগরীর গোয়ালখালী এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হয় এবং এতে অন্তত ৩ জন আহত হয়েছের বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে তাদের সঙ্গীরা আহত নেতা-কর্মীদের নিয়েই সমাবেশস্থলে হাজির হন।

বিএনপির কার্যকরী পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, 'নগরীর ৯, ১৮ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন এবং তারা দুপুর ১টা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছেন।'

তিনি বলেন, 'বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে শতাধিক নেতা-কর্মীকে তারা আহত করেছেন।'

এসব হামলা ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অবস্থান নেওয়ার খবরে আতঙ্কিত খুলনার বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

মেহেরপুরের গাংনী থেকে আসা দেলোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সমাবেশ শেষ করে মেহেরপুরের দিকে রওনা দিতে রাত হয়ে যাবে। আসার সময় কোনো বাস পাইনি। যেতেও হবে হয়তো ভেঙে ভেঙেই। এখন শুনছি বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সসস্ত্র অবস্থান নিয়েছেন। জীবন নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারব কি না সেই আতঙ্কে আছি।'

মেহেরপুর থেকে ২২ জনের একটি দল নিয়ে সমাবেশে এসেছেন দেলোয়ার।

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতারাও জানেন আমরা সমাবেশে এসেছি। তারাও সেখানে আমাদের টার্গেট করে রেখেছেন।'

একই আতঙ্ক প্রকাশ পায় খুলনার কয়রা থেকে আসা আবু বকরের কথাতেও। ৪টি মোটরসাইকেলে করে তারা ৮ জন সমাবেশে এসেছেন।

বকর বলেন, 'আমাদের বাড়ি খুলনা শহর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে। ফিরতে হবে পাইকগাছা দিয়ে। শুনেছি ওখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান করছে। তাই ভাবছি, রাতে আর যাব না। আগামীকাল দিনে রওনা দেবো। রাতে এদিকেই কোথাও হোটেল পেলে থাকব, নয়তো রাস্তাতেই কাটিয়ে দেবো।'

Comments

The Daily Star  | English

US sends list of items, seeking zero duty

The US has demanded zero duty facility for a large number of its products from Bangladesh.

12h ago