খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ

মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড, নেতা-কর্মীদের পায়ে হেঁটে আসতেও বাধার অভিযোগ

খুলনায় প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছবি: স্টার

সমাবেশ ঘিরে খুলনাগামী বিএনপি নেতা-কর্মীদের পথে পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

বিএনপির অভিযোগ, দৌলতপুর, ফুলবাড়ি গেট, বয়রা বাজার ও নতুন রাস্তার মোড়সহ শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথ ও মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ কোনো যানবাহনই খুলনায় প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না তারা। পায়ে হেঁটে প্রবেশের চেষ্টাকালেও তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং নানা ধরনের প্রশ্ন করে হয়রানি করা হচ্ছে।

আজ শনিবার দুপুর ২টায় খুলনা নগরের ডাকবাংলো ও ফেরিঘাট মোড়ের মাঝামাঝি সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির সমাবেশ শুরু হবে।

খুলনায় সমাবেশ ঘিরে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ছবি: স্টার

সমাবেশে যোগ দিতে যশোরের অভয়নগর থেকে এসেছেন বিএনপিকর্মী ইকবাল হোসেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যশোর থেকে কোনোমতে দৌলতপুর পর্যন্ত আসতে পেরেছি। সেখান থেকে কোনো যানবাহন পাইনি। পরে পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছি। এরপর পথে বিভিন্ন জায়গায় বারবার বাধার সম্মুখীন হয়েছি। পরে মূল সড়ক বাদ দিয়ে বিভিন্ন গলিপথ দিয়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছি।'

ডেইলি স্টারের খুলনা সংবাদদাতা জানান, তিনি খালিশপুরের গোয়ালখালী মোড় এলাকার পরিস্থিতির ছবি তুলছিলেন। সেসময় সেখানে ব্যারিকেড বসানো ব্যক্তিরা তার মোবাইল ফোন নিয়ে নেন। পরিচয় দেওয়ার পর ছবি ডিলেট করে তারা মোবাইল ফোন ফেরত দেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের সমাবেশ বানচাল করতে গতকাল থেকেই বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আজকে পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের সহায়তাতেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের নেতা-কর্মীদের বাধা দিচ্ছেন। যানবাহন তো বন্ধ রেখেছেই, পায়ে হেঁটেও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি সারা শহর ঘুরে দেখেছি। এরকম কোনো ঘটনা আমার চোখে পড়েনি। পুলিশের পক্ষ থেকেও কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হচ্ছে না। কোনো দলের লোকজনই এ কাজ করছে না।'

খুলনায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা। ছবি: স্টার

সরেজমিনে এ ধরনের ঘটনা দেখা গেছে উল্লেখ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যদি এরকম হয়ে থাকে, তাহলে হয়তো স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশ যানবাহন চেক করছে। হয়তো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।'

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল রানা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের নেতা-কর্মীদের বলা আছে যাতে সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হয়, তারা যাতে কোনো বাধা সৃষ্টি না করে। বিএনপি তাদের মতো করে কাজ করবে, আমরা আমাদের মতো করে কাজ করব।'

এদিকে সমাবেশ ঘিরে খুলনা রেলস্টেশন, স্টেশন রোড, কেডি ঘোষ রোড, পিকচার প্যালেস মোড়, ডাকবাংলো মোড়, ফেরিঘাট মোড় লোকে লোকারণ্য। সোনালী ব্যাংক চত্বর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন। গতকাল রাত ১২টার আগেই পূর্ণ হয়ে গেছে বিএনপির সমাবেশস্থলের আশপাশের জায়গা।

Comments