ট্রেনে ঝুলে-দাঁড়িয়ে যশোর থেকে খুলনায় বিএনপির নেতাকর্মীরা

শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা যশোর রেলস্টেশনে জড়ো হতে থাকে। ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে ২ দিনের পরিবহন ধর্মঘট থাকায় যশোর থেকে খুলনাগামী ট্রেনেই ছিল নেতাকর্মীদের একমাত্র ভরসা।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা যশোর রেলস্টেশনে জড়ো হতে থাকে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরে ছিল স্টেশনের প্লাটফর্ম। রেলের কামরায় জায়গা না থাকায় ট্রেনে ঝুলে, বাইরে রেলিংয়ে দাঁড়িয়ে খুলনায় সমাবেশে যোগ দিতে যশোর ছাড়েন তারা। শনিবার খুলনায় যেতে বাধা আসতে পারে তাই আগেভাগেই খুলনায় গেছেন নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা।

শনিবার খুলনায় যেতে বাধা আসতে পারে তাই আগেভাগেই খুলনায় গেছেন নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। ছবি: সংগৃহীত

বাস বন্ধ থাকায় প্রাইভেট কার, মাইক্রো ও ভাড়াচালিত অন্যান্য যানবাহনের সংকটের কারণে মানুষ ট্রেনেই যাতায়াত করেছেন। এছাড়া, খুলনার সঙ্গে আন্তঃজেলা সংযোগকারী ১৮টি রুটে বাস বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।

যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, 'যশোরের কোনো বাস বা মাইক্রোবাস আমাদের কাছে ভাড়া দিচ্ছে না। আমরা পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, এ বিষয়ে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই ট্রেনে করেই নেতাকর্মীরা খুলনা গেছেন।'

রেলের কামরায় জায়গা না থাকায় ট্রেনে ঝুলে, বাইরে রেলিংয়ে দাঁড়িয়ে খুলনায় সমাবেশে যোগ দিতে যশোর ছাড়েন তারা। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, 'যশোরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ হয়রানি, পরিবহন বন্ধ, যাত্রা পথে পুলিশের মারমুখী আচরণসহ নানাবিধ চক্রান্ত করেও ক্ষমতাসীনরা বিএনপির খুলনামুখী জনস্রোাতকে আটকাতে পারবে না।'

তিনি আরও বলেন, 'সমাবেশে যোগদান না করার জন্য গভীর রাতে নেতাকর্মীদের বাড়ি গিয়ে পুলিশ শাসিয়ে আসে। এমনকি মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডগুলোতে সমাবেশের দিন বিএনপি নেতাকর্মীদের বহন না করার জন্য চালকদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়েছে। ভোরের দিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ রেলস্টেশনে অবস্থান নিয়ে তাদের যাত্রা বাধাগ্রস্ত করবে। এমনকি গ্রেপ্তার আতঙ্ক সৃষ্টি করে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Over 45 lakh cases pending in courts

Each HC judge is burdened with 6,552 cases, while Appellate Division judges are handling 4,446 cases each, and lower court judges 1,977 cases each.

1d ago