রাবি শিক্ষার্থী শাহরিয়ারকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়: রামেক পরিচালক

কে জি এম শাহরিয়ার। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার গতকাল বুধবার রাতে হল থেকে পড়ে যাওয়ার পর তাকে মৃত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে হাসপাতালটির পরিচালক জানিয়েছেন।

পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, 'গতকাল রাতে হলের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া রাবি শিক্ষার্থীকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়। আমাদের চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন যে তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এখানে তাকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া যায়নি। তখন উপস্থিত ইন্টার্ন চিকিৎসক তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছিলেন। সিনিয়র চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ওই শিক্ষার্থীকে তখন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়।'

'তখনই তার পালস পাওয়া যায়নি, ইসিজি রিপোর্টেও দেখা যায় তিনি ইতোমধ্যে মারা গেছেন,' যোগ করেন। 

গতকাল বুধবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে মারা যান মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ার।  

শাহরিয়ারের চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে তার সহপাঠীরা বুধবার রাতেই রামেকে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর শুরু করেন। হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যান। 

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন রামেক পরিচালক। ছবি: সংগৃহীত

রাবি শিক্ষার্থীদের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার থানায় একটি অভিযোগ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগ পেয়েছি। তবে তা মামলা আকারে রুজু হয়নি এখনো। প্রাথমিক তদন্ত চলছে।'

আরএমপি কমিশনার বলেন, 'শাহরিয়ার অসাবধানতাবশত হলের বারান্দা থেকে পড়ে যায় বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে। তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে অসাবধানতাবশত তিন তলার রেলিং থেকে পড়ে যান।'

'আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি হলের নিচে যেখানে তিনি পড়ে যান, সেখানে তার মাথার খুলির অংশ পড়েছিল,' বলেন তিনি।

পুরো ঘটনা তদন্তে পুলিশ, রামেক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান আরএমপি কমিশনার।

  
 

Comments