স্কুলশিক্ষককে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষককে ছুরিকাঘাত, আটক ১
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে এক স্কুলশিক্ষককে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষক শামসুজ্জামান লিজুকে ছুরিকাঘাত করেছেন এক যুবক।
বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে আনন্দবাজার গ্রামে গুদামের চওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে তার ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন আব্দুল হাদি ও মহসিন আলী নামে স্থানীয় দুই যুবক।
পরে স্থানীয়রা ধারালো ছুরিসহ যুবককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
দুই হাতে ছুরির আঘাতে আহত প্রধান শিক্ষককে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত স্থানীয় দুই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটক যুবক শের আলী (২২) খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের খোলাহাটি গ্রামের আব্দুর নুরের ছেলে।
প্রধান শিক্ষক শামসুজ্জামান লিজু ডেইলি স্টারকে বলেন, গেল ছয় মাস ধরে বখাটে যুবক শের আলী বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষককে রাস্তায় উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। ওই বখাটে যুবককে একাধিকবার সাবধান করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। তার পরিবারকে এ ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
'আমি অফিসে বসে কাজ করছিলাম। এসময় ওই যুবক হাতে ধারাল ছুরি নিয়ে আমার কক্ষে প্রবেশ করে গালিগালাজ করতে থাকে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ধারাল ছুরি উঁচিয়ে আমাকে মারতে আসে। আমি দুই হাত দিয়ে ছুরির আঘাত ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলাম,' তিনি বলেন।
উত্ত্যক্তের শিকার স্কুলশিক্ষক ডেইলি স্টারকে বলেন, অভিযুক্ত যুবক স্কুল আসার পথে এবং বাড়ি ফেরার পথে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। প্রধান শিক্ষককে এ ব্যাপারে অবগত করলে তিনি প্রতিবাদ করায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত যুবক মহসিন আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের চিৎকারে প্রথমে তারা দুজন মিলে ওই যুবককে আটক করার চেষ্টা করেছিলেন। পরে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হয়ে তাকে আটক করা হয়। ওই যুবককে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে বখাটে যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় আটক বখাটে যুবককে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, আটক যুবক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হযনি তবে শিক্ষকদের পক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ।
Comments