ইউএনওকে ‘স্টুপিড’ বললেন বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ
বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরুজ্জামানের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এক পর্যায়ে ইউএনওকে 'স্টুপিড' বলেন মেয়র। মেয়রের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা ভিডিওতে এই ঘটনাটি ধরা পড়েছে।
সকাল ৯টার দিকে বরিশাল জিলা স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে যান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এ সময় তার সঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন লিটু, রফিকুল ইসলাম খোকন, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনিসহ বেশ কয়েকজন ছিলেন। কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন সদর উপজেলার ইউএনও মনিরুজ্জামান।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে গেলে ইউএনও আপত্তি জানান। এ সময় ইউএনওকে উদ্দেশ্য করে মেয়র বলেন, 'আমি কি ঢুকছি এখানে? আমি কি ঢুকছি? কেন সিনক্রিয়েট করতেছেন? আপনি কে? আমি কি ঢুকছি? তারপরও আপনি কথা বলতেছেন। আমি কি বাচ্চা শিশু? স্টুপিডের মতো কথা বলেন। যেভাবে ভাবটা করেন, তাতে বুঝায় দল বাইধা ঢুকতেছি। ভোটার হইছে ১৭৪ জন। তাহলে সমস্যা কোথায় আপনাদের?'
এসময় জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর ইউএনওকে উদেশ্য করে বলেন, 'উনি (মেয়র সেরনিয়াবাত) বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উনি (সাইদুর রহমান রিন্টু) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।'
জবাবে ইউএনও মনিরুজ্জমান বলেন, 'চেয়ারম্যান মহোদয় আমি আপনাদের চিনি। আমি এমন কিছু বলিনি।'
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার সঙ্গে কিছু হয়নি। আপনার লাইভেই দেখেছেন। এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার ভালো বলতে পারেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মেয়র মহোদয়ে সঙ্গে তেমন কিছু হয়নি। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, মেয়র মহোদয় ৯টায় কেন্দ্রে প্রবেশ করলেও আমাদের কেন্দ্রের ঘড়িতে ২/১ মিনিট কম ছিল। তাই ইউএনও মহোদয় কেন্দ্রে ঢুকতে তাকে নিবৃত্ত করতে চাইছিলেন। এ নিয়ে ইউএনওর বক্তব্য তিনি হয়তো ঠিকভাবে রিসিভ করতে পারেননি। এটি তেমন কিছু নয় সামান্য ভুল বোঝাবুঝি।
কেন্দ্রে কোনো আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হয়নি বলেও দাবি করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান।
এ ব্যাপারে মেয়রের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তিনি মেসেজেরও কোনো উত্তর দেননি।
Comments