লাল শাপলায় ভাসছে চচুয়া-বড়বিলা বিল

, বিশাল বিল ঘুরে দেখাতে সেখানে প্রায় ৫০টি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

লাল শাপলার অপরূপ সৌন্দর্যে সেজেছে ত্রিশালের প্রায় ৫০ একরের চচুয়া বিল ও ফুলবাড়ীয়ার বড়বিলা বিল। দর্শনার্থীরাও ছুটে যাচ্ছেন সেই সৌন্দর্য দেখতে। তারপর ছবি তুলছেন। কেউ কেউ সেই ছবি আবার পোস্ট করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এভাবেই এই বিল দুটির কথা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের নানা প্রান্তে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশাল বিল ঘুরে দেখাতে সেখানে প্রায় ৫০টি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে স্থানীয়দের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। চেচুয়া বিলে লাল, সাদা, হলুদ, বেগুনী রংয়ের শাপলা দেখতে সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে। এটি যেন অঘোষিত পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

ময়মনসিংহ শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে চেচুয়া বিলটি এখন শাপলা বিল নামেই পরিচিত।

দেখতে সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে। ছবি: সংগৃহীত

সেখানে ঘুরতে আসা আতাউল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও অনেকের কাছে শুনে সপরিবারে শাপলার সৌন্দর্য দেখতে এসেছি। নৌকা দিয়ে পুরো বিলটা ঘুরে দেখে অনেক আনন্দ পেয়েছি।'

স্নাতকের শিক্ষার্থী সুবিল কর্মকার জানান, এখানে এসে কাছ থেকে শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এই বিল ছবিতে যতটা সুন্দর, বাস্তবে তার চেয়েও বেশি উপভোগ্য।

জানা গেছে, বিলটিতে শাপলার সৌন্দর্য রক্ষায় ফুল তোলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে, দর্শনার্থীরা সারাবছর শাপলার এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, ফুলবাড়ীয়ার বড়বিলা বিলও সেজেছে শাপলার ক্যানভাসে। প্রায় ১৫ বছর ধরে বড়বিলা বিলে শাপলার সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রতিদিন ভিড় করে শতশত দর্শনার্থী। প্রায় ৪০০ একর জমি নিয়ে এই বিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাকা রাস্তা থেকে বিলে পৌঁছাতে ৩ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা থাকায় দর্শনার্থীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসন যথাযথ উদ্যোগ নিলে বিল দুটিকে সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে জানান এলাকাবাসী ও পর্যটকরা।

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

1h ago