উত্তর কোরিয়ার আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, দক্ষিণ সীমান্তে ১০ যুদ্ধবিমান

কিম জং উন
উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির অনুষ্ঠানে কিম জং উন। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো/কেসিএনএ

উত্তর কোরিয়া আবারও স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। পাশাপাশি, দেশটির ১০ যুদ্ধবিমান দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তের খুব কাছ দিয়ে উড়ে গেছে।

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পরমাণুশক্তিধর পিয়ংইয়ং এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো।

এতে আরও বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার ১০ সামরিকযান দক্ষিণ সীমান্তের খুব কাছ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় সিউল সেখানে যুদ্ধবিমান পাঠায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির পূর্ব উপকূলে সাগরে পড়েছে।

আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য পিয়ংইয়ংকে দায়ী করে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি) বলেছে, এটি ২০১৮ সালের দ্বিপাক্ষিক সামরিক চুক্তিবিরোধী। সেই চুক্তিতে সীমান্ত এলাকায় কোনো 'বৈরী পরিবেশ' তৈরি না করার কথা বলা হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে দেশটির ১৫ ব্যক্তি ও ১৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সিউল।

সামরিক বাহিনীর এক বার্তার বরাত দিয়ে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানায়, গতকাল দক্ষিণ কোরিয়া কামানের গোলা ছোড়ায় পিয়ংইয়ং 'জোরালো সামরিক ব্যবস্থা' নিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার এনএসসি বলেছে, 'নিয়মিত মহড়ার' অংশ হিসেবে তারা কামানের গোলা ছুড়েছে, যা আইনত বৈধ।

'উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত,' উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড বলেছে, 'এটি ওয়াশিংটনের জন্য হুমকি নয়।'

জাপানের প্রধান ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হিরোকাজু মাৎসুনো বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার বারবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা 'কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না'।

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'দ্রুত শক্তিশালী' করতে টোকিও কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

গত ২ সপ্তাহ ধরে উত্তর কোরিয়া নিয়মিতভাবে স্বল্প ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Nahid warns against media intimidation, vows stern action

The government will take stern action against those trying to incite violence or exert undue pressure on the media or newspapers, said Information Adviser Nahid Islam today

29m ago