তিস্তা ব্যারেজ পরিদর্শনে চীনা রাষ্ট্রদূত

চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং তিস্তা ব্যারেজ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং নীলফামারীর ডালিয়ায় তিস্তা নদীর ওপরে অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

আজ রোববার সকালে তিনি তিস্তা ব্যারেজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা, ডালিয়া যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রুবাইয়াৎ ইমতিয়াজ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।

২ দিনব্যাপী এই সফরের দ্বিতীয় দিনে আগামীকাল চীনা রাষ্ট্রদূত পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ২ দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত তিস্তা মহাপরিকল্পনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন।

তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর ওপর চীনা সহায়তায় নির্মিত মহিপুর ব্রিজ, তৎসংলগ্ন তিস্তা ডানতীর বাঁধ ও তিস্তা সেচ প্রকল্পের অধীনে ফসল খামার পরিদর্শন করেন লি জিমিং।

এ ছাড়া, তিনি এসএএসএসি রোড কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-২, এলেঙা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক এলাকাও পরিদর্শন করেন।

আগামীকাল তিনি গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর ওপর  নির্মাণাধীন ব্রিজ পরিদর্শন করবেন।

তিস্তা ব্যারেজের বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক নীলফামারী জেলা শাখার সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'বর্ষায় আমরা পানিতে ডুবে কষ্ট পাই আর শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে ফসল পুড়ে যায়। দীর্ঘ দেন দরবারেও আমরা ভাটির দেশ হিসেবে প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিসসা পাচ্ছি না। সেখানে তিস্তা মহাপরিকল্পনা আমাদের জন্য হতে পারে আশীর্বাদ।'

'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ভারত সফরকালেও তিস্তার ব্যাপারে কোনো সুরাহা নিয়ে আসতে পারেননি', বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ-চীন অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে 'তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশান' প্রকল্প ডিজাইন করেছে।

দীর্ঘদিন থেকে ঝুলে থাকা তিস্তার পানি সমস্যা সমাধানে এটাকে একটি ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরকালে ২৪ বিলিয়ন ডলারের একটি সমঝোতা চুক্তি সম্পাদিত হয়। সেখানে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে নদী ব্যবস্থাপনার কথাও উল্লেখ ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

BNP wants national polls by mid-2025

The BNP wants the national election by the middle of this year and local government polls afterwards.

7h ago