বিদ্যুতের নামে সরকার ১ বছরের বাজেটের সমান টাকা পাচার করেছে

fakhrul1.jpg
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার বিদ্যুতের কথা বলে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট তৈরি করে পাওয়ার প্ল্যান্ট দিয়ে অসংখ্য টাকা চুরি করেছে এবং বিদেশে পাচার করেছে। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে যে পরিমাণ টাকা তারা লুট করেছে-বিদেশে পাচার করেছে, এটা একটা বছরের বাজেটের মতো হয়ে যায়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, আমরা এমন একটি সময় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছি যখন দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই, সংগঠন করার স্বাধীনতা নেই। মানুষের নিরাপত্তা নেই। মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে যখন তারা প্রতিবাদ করছে। ফেসবুকে পোস্ট স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে রাত ২টার সময় তুলে নিয়ে যায়। এই যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, এই অবস্থা বাংলাদেশের মানুষ-স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্মকে বিপন্ন করে ফেলেছে।

আইসিটি বিভাগ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ধারা ১৫ এর ক্ষমতাবলে সম্প্রতি যে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগে সংবাদপত্র বিভিন্ন দপ্তরে যে চুরি হচ্ছে, সেগুলো তুলে ধরতেন। এখন তারা সেগুলোও লিখতে পারবে না, বলেন ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি, আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ না হই তাহলে এদের পরাজিত করা যাবে না। এরা একটি ফ্যাসিস্ট শক্তি। ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করা গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে খুবই কঠিন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পত্রিকায় সংবাদ এসেছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ প্রত্যেক জেলায় যারা বিএনপিতে সক্রিয়, যারা অর্থের জোগান দেয়, যারা লোকবল দেয় তাদের তালিকা করতে বলেছে। এই নামগুলো নিয়ে তারা তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করবে এবং বিরোধী দল যেন কোনো কাজ করতে না পারে তার জন্য তাদের ওপর দমন-পীড়নের ব্যবস্থা করবে। এই যদি একটি দেশের চিত্র হয় এবং বলা হয়, এটা একটা গণতান্ত্রিক দেশ তাহলে কি আমরা মেনে নিতে পারি? আমাদের সামনে পথ একটাই, এই সরকারকে সরিয়ে দেবো। কারণ এই সরকার প্রমাণ করেছে তারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে যাব তার আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশনের অধীনে একটা পার্লামেন্ট নতুন করে গঠন করা হবে।

Comments