থাইল্যান্ডে ডে কেয়ারে হামলা: ২২ শিশুসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮

হামলার পর ঘটনাস্থলে থাই কর্মকর্তারা। ছবি: রয়টার্স

থাইল্যান্ডের একটি ডে কেয়ার সেন্টারে ছুরিকাঘাত ও গুলির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২২ শিশু আছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ব্যাংকক থেকে ৫০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত শহর উথাই সাওয়ানের ডে কেয়ার সেন্টারে সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা এ হামলা চালান।

বেশিরভাগ শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে থাইল্যান্ডের পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, ডে কেয়ারে হত্যাকাণ্ড চালানোর পর হামলাকারী নিজ বাড়িতে যান এবং নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করেন। এরপর আত্মহত্যা করেন তিনি।

থাই পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, হামলাকারী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে গত বছর বরখাস্ত করা হয়। একই অভিযোগে বিচারের মুখোমুখিও হয়েছিলেন তিনি।

পুলিশের মুখপাত্র পাইসাল লুয়েসমবুন থাইপিবিএসকে বলেছেন, হামলাকারী আজ দিনের শুরুতে আদালতে ছিলেন। তারপর নিজের সন্তানকে বাড়ি আনতে ওই ডে কেয়ার সেন্টারে যান তিনি। সেখানে সন্তানকে দেখতে না পেয়ে হামলা শুরু করেন। শিশুদেরসহ অন্যদের গুলি ও ছুরিকাঘাত করতে শুরু করেন। প্রায় ৩০টি শিশু তখন ডে কেয়ার সেন্টারটিতে ছিল।

স্থানীয় একজন সরকারি কর্মকর্তা জিদাপা বুনসোম রয়টার্সকে বলেন, `দুপুরের খাবারের সময় হামলাকারী প্রথমেই ডে কেয়ার সেন্টারের ৪-৫ জন কর্মচারীকে গুলি করেন। এরপর শিশুদের ওপর হামলা চালান তিনি।'  

ওই কর্মকর্তা বলেন, `প্রথমে মনে হয়েছিল আতশবাজি ফোটানো হচ্ছে।'

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হামলাকারীর নাম পানিয়া কামরাব (৩৪)। হামলার পর তিনি একটি সাদা রঙের পিকআপে করে পালিয়ে যান।

রয়টার্স জানিয়েছে, থাইল্যান্ডে এ ধরনের হামলার ঘটনা বিরল। তবে এই অঞ্চলের অন্যান্য কিছু দেশের তুলনায় সেখানে বন্দুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি এবং অনেকেই অবৈধ অস্ত্র রাখেন।

এর আগে ২০২০ সালে এক সৈনিক ক্ষুব্ধ হয়ে গুলি চালিয়ে অন্তত ২৯ জনকে হত্যা করেন। সেই ঘটনায় ৫৭ জন আহতও হয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Public admin reforms: Cluster system may be proposed for ministries

The Public Administration Reform Commission is likely to recommend reducing the number of ministries and divisions to 30 from 55 to improve coordination and slash the government’s operational cost.

8h ago