পরিবেশ ধ্বংস করে কোনো উন্নয়ন হতে পারে না: সুলতানা কামাল

‘যুব বাপা’র যাত্রা শুরু
Sultana Kamal
বাপা সভাপতি সুলতানা কামাল। ছবি: স্টার

দেশের পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের সংগঠিত করতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুব প্ল্যাটফর্ম 'যুব বাপা' যাত্রা শুরু করেছে।

বাপা সভাপতি সুলতানা কামাল আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

দেশের পরিবেশ আন্দোলনে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এ প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাপার যুব প্লাটফর্ম 'যুব বাপা' ঘোষণা করে সুলতানা কামাল বলেন, 'দেশের পরিবেশ রক্ষায় যুবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুবকরা ঝুঁকি নিতে পারে, তাদের সামনে আছে অনেক স্বপ্ন, আছে অনেক সময় ও সুযোগ। সেই সময় ও সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় তারা এগিয়ে আসবে।'

'পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক মানুষের প্রতিটি ক্ষেত্রে। পরিবেশ ধ্বংস করে কোনো উন্নয়ন হতে পারে না। সবার স্বার্থ একই সূত্রে গাঁথা, সেটি হচ্ছে পরিবেশ প্রকৃতি। দেশের পরিবেশ রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই আমরা মনে করি এ কাজে যুবকদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি', বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বাপা সভাপতি সুলতানা কামাল। ছবি: স্টার

বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, 'দেশের কিশোর-তরুণ-যুবকদের পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে বাপা ইতোমধ্যে যুব প্লাটফর্ম গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা বাপার যুব প্লাটফর্ম "যুব বাপা" ঘোষণা করছি। দেশের যেখানেই পরিবেশ নদ-নদী-খাল-বিল-পাহাড় নষ্ট হবে সেখানে আমাদের যুব সদস্যরা সোচ্চার হবে।'

তরুণদের পরিবেশ সচেতন করার মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত না করতে পারলে দেশের পরিবেশ রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সুতরাং আমাদের দেশের পরিবেশ রক্ষায় যুবকদের অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত জরুরি বলেও জানান তিনি।

১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা কিশোর বাপা ও ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা যুব বাপার সদস্য হতে পারবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাপার সহ-সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার, কার্যনির্বাহী সদস্য এম এস সিদ্দিকী, যুব বাপা কর্মসূচির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট রাওমান স্মিতা এবং বাপার আজীবন সদস্য আরাফাত জোবায়েরসহ বাপা ও যুব বাপা কর্মসূচি কমিটির নেতৃবৃন্দ।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago