আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার: জি কে শামীম

gk_shamim.jpg
এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীম | ছবি: এমরুল হাসান বাপ্পী/স্টার

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানকালে গ্রেপ্তার বিতর্কিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীম তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলার রায়ের পর বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার এবং এটি তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র।

আজ রোববার অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেন তিনি।

গ্রেপ্তারের পর থেকে গত প্রায় ৩ বছরে ৪ দফায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে আছেন জি কে শামীম।

আজ ঘোষিত রায়ে তার বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে বলেও জি কে শামীম দাবি করেন।

আজ দুপুর ১টায় ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন

এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি মো. সালাউদ্দিন হাওলাদার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. শাহীনুর ইসলাম এ রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, 'আসামিরা ন্যায়বিচার পায়নি।'

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন—শামীমের দেহরক্ষী দেলোয়ার হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আমিনুল ইসলাম।

রায় ঘোষণার শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২৮ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালত অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছিলেন। শুনানিকালে মামলার বাদীসহ রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

ওই বছরের ২৭ অক্টোবর র‌্যাবের উপপরিদর্শক ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখর চন্দ্র মল্লিক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, 'তারা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন বড় বড় টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।'

ক্যাসিনোবিরোধী 'শুদ্ধি' অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে তার নিজ কার্যালয় থেকে শামীমকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সে সময় তার ৭ দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

3h ago