৫ দিনে তিস্তায় বিলীন ২০০ বসতভিটা, ৫০০ বিঘা আবাদি জমি

ডাউয়াবাড়ী এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বসতভিটা ও আবাদি জমি। ছবি: এস দিলীপ রায়/ স্টার

লালমনিরহাটে ১০টি পয়েন্টে তিস্তা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী এলাকায় তিস্তার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ৫ দিনে নদীভাঙনে তিস্তার উদরে বিলীন হয়েছে কমপক্ষে ২০০টি বসতভিটা ও ৫০০ বিঘা আবাদি জমিসহ কয়েকটি ফলের বাগান।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এসব স্থানে তিস্তা নদীর ভাঙন অব্যাহত আছে।

ভাঙনকবলিত গ্রামগুলো হলো— হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী, উত্তর সিন্দুর্না, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড়, বালাপাড়া, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা।

ডাউয়াবাড়ী গ্রামের আফতার আলী ডেইলি স্টারকে জানান, চোখের সামনে তাদের বসতভিটা ও ৪ বিঘা আবাদি জমি তিস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত ৩ দিন ধরে তারা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। তিস্তা নদীর ভাঙনে তার পরিবার নিঃস্ব ও ভূমিহীন হয়ে পড়েছে।

একই গ্রামের নবির হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, তার বসতভিটা ও ২ বিঘা আবাদি জমি নদীভাঙনে বিলীন হয়েছে। গ্রামে তিস্তা নদীর ভাঙন অব্যাহত আছে। আরো শতাধিক বসতভিটা ও কয়েকশ বিঘা আবাদি জমি ভাঙন হুমকিতে রয়েছে।

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, তার ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা আবাদি জমি ও ফলের বাগান। গেল ৫ দিনে তার ইউনিয়নে প্রায় ১০০টি বসতভিটা ও ২০০ বিঘা আবাদি জমি তিস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীভাঙন এখনো চলছে। ভাঙন হুমকিতে থাকা পরিবারগুলো স্বেচ্ছায় তাদের বাড়িঘর নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছে।

'পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও ভাঙনরোধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধ করা না হলে তিস্তা নদীগর্ভে আরো অনেক বসতভিটা ও আবাদি জমি চলে যাবে,' তিনি বলেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল শাহ ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, নদীভাঙন কবলিত পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। খুব শিগগির এসব পরিবারের মাঝে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, বরাদ্দ না থাকায় ভাঙনকবলিত সবগুলো স্থানে তাৎক্ষনিক ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। তবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাঙনরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে।

  

Comments

The Daily Star  | English

Cops get whole set of new uniforms

The rules were published through a gazette yesterday, repealing the previous dress code of 2004

53m ago