নোয়াখালীতে স্কুলশিক্ষার্থীকে হত্যা, আদালতে গৃহশিক্ষকের জবানবন্দি
নোয়াখালীতে অষ্টম শ্রেণির স্কুলশিক্ষার্থীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনি (৩০)।
শনিবার বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট কোর্টের ১ নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট মো. এমদাদের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, অভিযুক্ত আবদুর রহিম নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর মহল্লার লাতু কমিশনারের বাড়ির খলিল মিয়ার ছেলে। কয়েক মাস আগে স্কুলশিক্ষার্থী তার কাছে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দেয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীর বাসায় যান রনি। জোরকরে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এসময় স্কুলশিক্ষার্থী তার মাকে সব বলে দেবে জানালে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর মৃত্যু নিশ্চিতে ছুরি দিয়ে গলা ও হাতের রগ কেটে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী স্কুলশিক্ষার্থীর মা হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন-অর্থ) দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আকরামুল হাসান, ডি আই ও ওয়ান মোস্তাফিজ ভূইঁয়া সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহষ্পতিবার মাইজদীর লক্ষীনারায়ন পুর মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্কুলশিক্ষার্থীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সাবেক গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনিসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে রনিকে শুক্রবার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
বিচার দাবিতে মানববন্ধন
নিজঘর থেকে স্কুলশিক্ষার্থীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নোয়াখালীতে এ ঘটনায় হত্যাকারীর সর্বোচ্চ বিচার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
দুপুর ২টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নোয়াখালী প্রেসক্লাব, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীরা দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।
এ সময় শত শত শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা প্রধান আসামি আব্দুর রহমান রনির ফাঁসি দাবি করেন।
Comments