‘প্রবাসীদের জন্য বিমানবন্দর হোক নিরাপদ ও স্বস্তির জায়গা’

দুবাইয়ে ‘প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট জটিলতা, দেশে সার্বিক নিরাপত্তা, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও সহজ বিনিয়োগ’ শীর্ষক আলোচনা সভা। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিমানবন্দরে প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান হয়রানির শিকার হন রেমিট্যান্সযোদ্ধা প্রবাসীরা। ভ্রমণে-যাতায়াতে কন্ট্রাক্ট, মালামাল চুরি, লাগেজ কাটা ও ট্রলি সংকটের মতো ঘটনার মুখোমুখি হন তারা। অনেকের কাছে তাই বিমানবন্দর মানেই আতঙ্কের নাম। অথচ বিমানবন্দর হওয়ার কথা ছিল নিরাপদ ও স্বস্তির জায়গা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে 'প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট জটিলতা, দেশে সার্বিক নিরাপত্তা, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও সহজ বিনিয়োগ' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

সরকারকে রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে সবার আগে রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের নিরাপত্তা ও তাদের বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

গতকাল সোমবার রাতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই ও খুলনা প্রেসক্লাবের সমন্বয়ে আয়োজিত এ সভায় প্রবাসী বাংলাদেশি, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএউ'র সভাপতি শিবলী আল সাদিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান জনির পরিচালনায় সভায় অতিথি বক্তা ছিলেন, খুলনা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, খুলনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মো. আশরাফুল হক, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ, দৈনিক পূর্বাঞ্চল সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সনি, এখন টেলিভিশনের খুলনা ব্যুরো প্রধান মো. তরিকুল ইসলাম, দাগনভূঁইয়ার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুন এবং সিন্দুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর নবী।

প্রবাসী সংগঠকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আমিরাত প্রবাসী এনআরবি সিআইপি শেখ ফরিদ আহমেদ, বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম ইউএই'র সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুব আলম মানিক, প্রবাসী শিল্পদ্যোক্তা এ কে আজাদ, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মোদাচ্ছের শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল শাহীন, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ ইছমাইল এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আসিফ।

দীর্ঘ আলোচনায় বক্তারা প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি তুলে ধরে বলেন, অভিবাসী দিবসকে সমানে রেখে সরকারের উচিত প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধাগুলো আরও গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করা। বিশেষ করে এই দিবস উপলক্ষে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় অন্তত একশটি এজেন্ডা নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

প্রবাসী সংগঠকরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রবাসীর সন্তানদের জন্য বিশেষ কোটা প্রথা চালু, প্রবাসে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম সম্প্রসারণ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু, সরকারি দপ্তরে প্রবাসী প্রতিনিধি প্রদান, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রবাসীদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা, ই-পাসপোর্টের জটিলতা নিরসন ও বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক মাহমুদ সোহেল, বিমল সাহা, হুমায়ুন কবীর, আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সংগঠক প্রকৌশলী মইনুল ইসলাম, ইফতেখার পাবেল, জুলফিকার হায়দার, সাজন আহমেদ সাজু এবং শামসুল হক প্রমুখ।

লেখক: আমিরাত প্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

1h ago