আগস্টে ৮৫ লাখ টন রুশ থার্মাল কয়লা আমদানি করেছে চীন

সারা বিশ্ব পুতিনকে একঘরে করে রাখলেও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। ছবি: রয়টার্স
সারা বিশ্ব পুতিনকে একঘরে করে রাখলেও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। ছবি: রয়টার্স

বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাড়তি চাহিদা মেটাতে রাশিয়া থেকে উন্নতমানের থার্মাল কয়লার আমদানি বাড়িয়েছে চীন।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

চীনের শুল্ক বিভাগের (সাধারণ প্রশাসন) তথ্য অনুসারে, গত আগস্টে রাশিয়া থেকে চীনে ৮৫ লাখ ৪০ হাজার টন কয়লা এসেছে। গত জুলাইতে এর পরিমাণ ছিল ৭৪ লাখ ২০ হাজার টন।

গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কয়লা আমদানি ৫৭ শতাংশ বেশি।

২০১৭ সাল থেকে আমদানির হিসাব রাখার প্রক্রিয়া শুরুর পর এটাই সর্বোচ্চ আমদানি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে 'বিশেষ সামরিক অভিযান' শুরুর পর থেকে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়া থেকে গ্যাস, কয়লা ও তেল কেনাসহ প্রায় সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে। ফলে বড় আকারে মূল্য ছাড় দিয়ে কয়লা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে রাশিয়া।

ব্যবসায়ীরা গণমাধ্যমকে জানান, সম্প্রতি ভারত ও চীন আমদানি বাড়ানোয় রুশ কয়লার দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনো স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত একইমানের কয়লার চেয়ে আমদানিকৃত রুশ কয়লার দাম অপেক্ষাকৃত কম।

চীনের জিয়াংসু প্রদেশে আমদানি করা রুশ কয়লার প্রক্রিয়াজাতকরণ চলছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
চীনের জিয়াংসু প্রদেশে আমদানি করা রুশ কয়লার প্রক্রিয়াজাতকরণ চলছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

চীনে পাঠানো ৫ হাজার ৫০০ কিলোক্যালরি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এক টন রুশ 'থার্মাল' কয়লার মূল্য আগস্টের শেষের দিকে ১৫৫ ডলার ছিল। এর এক মাস আগে কয়লার দাম ছিল দেড় শ ডলার।

গত জুলাইয়ের শেষের দিকে চীনের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ খরা ও তাপদাহ থাকায় শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ও পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরবরাহ ঘাটতি মেটাতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদন বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। এ কারণে দেশটিতে কয়লার চাহিদা বেড়েছে।

চীনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদন বাড়াতে উন্নতমানের কয়লা ব্যবহার করছে। প্রতি টন রুশ থার্মাল কয়লা সাধারণ কয়লার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম।

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago