‘বিউটি সার্কাস’ জীবনের খুব রোমাঞ্চকর একটি কাজ: জয়া আহসান
প্রায় দেড় বছর পর আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে জয়া আহসান অভিনীত সিনেমা 'বিউটি সার্কাস'। মাহমুদ দিদার পরিচালিত সিনেমাটি বাংলাদেশে সার্কাস নিয়ে প্রথম কোনো সিনেমা। দেশের ১১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। সিনেমায় নিজের চরিত্রসহ অনেক বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
ডেইলি স্টার: 'বিউটি সার্কাস' সিনেমায় নিজের চরিত্রটি কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?
জয়া আহসান: এই সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে অসাধারণ কিছু অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। এখানে সার্কাসের অনেক খেলা খেলতে হয়েছে। সেগুলো অনেক রিস্কি ছিল। অথচ এসব না ভেবে চরিত্রের মোহে আমি কাজগুলো কীভাবে কখন করেছি টেরই পাইনি। সার্কাসকন্যা 'বিউটি' রূপে কাজটি আমার অভিনয় জীবনের খুব রোমাঞ্চকর কাজের একটি।
ডেইলি স্টার: সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখেন?
জয়া আহসান: প্রথমত চরিত্র আমাকে ছুঁয়ে যেতে হবে। সিনেমার গল্পে নিজের চরিত্র ছুঁয়ে গেলে আর কিছুই দেখিনা। আর 'বিউটি সার্কাস' সিনেমায় নিজেকে জড়ানোর কারণ হলো বরাবরই আমি নতুন নির্মাতাদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করি। সেটা আমার ক্যারিয়ারগ্রাফ দেখলেই মেলানো যাবে। দিদার অসাধারণ একজন আইডিয়াবাজ। ওর যে কোনো কাজের সঙ্গে আমি থাকি বা রাখার চেষ্টা করি। পরিচালক আমার জন্য অসাধারণ একটি চরিত্র লিখেছে যা সিনেমাটি করার অন্যতম কারণ।
ডেইলি স্টার: সার্কাস দেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে কি?
জয়া আহসান: ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে কলাবাগান মাঠে একবার সার্কাস দেখতে গিয়েছিলেন। ওটাই ছিল আমার প্রথম ও শেষ সার্কাস দেখা। এরপর এই সিনেমার শুটিংয়ের সময় আসল সার্কাস দলের অনেকের সঙ্গে ছোট-ছোট বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। তাদের ভেতরের বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করেছি। যা আমার জীবনের অনেক বড় অভিজ্ঞতা বলে মনে করি। আমাকে চরিত্রটি করতে সাহায্য করেছে এটি। বাংলার আবহমান সংস্কৃতি সার্কাস নিয়ে সিনেমাটি দর্শকদের পছন্দ হবে বলে আমার বিশ্বাস।
ডেইলি স্টার: 'বিউটি সার্কাস' সিনেমার বিউটি চরিত্রটি নিয়ে কিছু বলেন?
জয়া আহসান: আমার অভিনীত চরিত্রটি দর্শকদের এমন কিছু জায়গায় নিয়ে যাবে, যেখানে দর্শক আগে কোনোদিন যায়নি। আবার এমন কিছু চরিত্র প্রদর্শন করার সুযোগ করে দিয়েছে, যার অভিজ্ঞতাটাও একেবারে নতুন।
ডেইলি স্টার: শুনলাম কলকাতায় একটি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রধান অতিথি হয়ে যাচ্ছেন?
জয়া আহসান: হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কলকাতার নন্দনে এই চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন হবে। ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব ইন্ডিয়ার আয়োজনে প্রথমবার কলকাতায় এই 'বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসব'-এর আয়োজন করেছে। তারা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে এই জন্য কৃতজ্ঞ তাদের কাছে। আগামীকাল কলকাতা যাচ্ছি সেই আয়োজনে অংশ নেওয়ার জন্য।
ডেইলি স্টার: সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমা 'রইদ' সিনেমার শুটিং কবে শুরু করবেন?
জয়া আহসান: এই সিনেমার পরিচালক হলেন মেজবাউর রহমান সুমন। তার পরিচালিত 'হাওয়া' সিনেমা মুক্তি পেয়ে এখন হাওয়ায় উড়ছেন তিনি। এর মধ্যে ভেতরে ভেতরে কিছু কাজ এগিয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে বিষয়টা নিয়ে বলতে পারবো।
ডেইলি স্টার: একটি ওয়েব সিরিজে বলিউডের অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে অভিনয়ের বিষয়ে কথা শোনা গিয়েছিল?
জয়া আহসান: এইসব ঘটনার বিষয়ে যা জেনেছেন বা শুনেছেন সেটা আমার সঙ্গে কথা না বলে, সত্যতা যাচাই না করে, করা হয়েছে। এমন কিছু হলে আমি নিজেই জানাতাম। তবে বেশকিছু ভালো ওয়েব প্রজেক্টের বিষয়ে কথা হচ্ছে। বলার মতো জায়গায় আসলে অবশ্যই সবাইকে জানাবো। আমাদের এখানে এখন অনেক ভালো মানসম্মত ওয়েব কন্টেন্ট তৈরি হচ্ছে যা আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে।
ডেইলি স্টার: 'হাওয়া' ও 'পরাণ' সিনেমাগুলো ভালো চলছে ব্যবসা করছে। বাংলা সিনেমার এই সুবাতাস নিয়ে আপনার অভিমত কী?
জয়া আহসান: সিনেমা ২টি ভালো গেছে এখনো ভালো চলছে এটা আমাদের বাংলা সিনেমার জন্য অবশ্যই ভালো লাগার ঘটনা। সিনেমাগুলো নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা, দর্শকদের হলে ফেরা সবকিছুই আমাদের জন্য আনন্দের। সিনেমাগুলোর সঙ্গে জড়িত সবাইকে আমার প্রাণছোঁয়া শুভেচ্ছা। বাংলা সিনেমার এই সুবাতাস অব্যাহত থাকুক এটা কামনা করি।
Comments