জার্মানি যেতে ডিসেম্বরের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্নের দাবি শিক্ষার্থীদের

জার্মানি যেতে ডিসেম্বরের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্নের দাবি শিক্ষার্থীদের
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব ভবনের একটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্টার

জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার জন্য ২০২১ সালে আবেদন করা ১ হাজার শিক্ষার্থীকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশে অবস্থান করা জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব ভবনের একটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, জার্মানির ৭০-৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ থেকে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ভিসার জন্য তারা আটকে আছেন। দেশে অবস্থান করে তারা ১৪-১৫ মাস ধরে অনলাইনে ক্লাস করেছেন। কিন্তু সশরীরে বাধ্যতামূলকভাবে ক্লাস চালুর সিদ্ধান্তে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০২১ সালে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া শিক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ নিশ্চিতের জন্য ২০২২ সালের মধ্যে সুপার ফ্রাইডে ও সুপার মাস চালু করতে হবে। কমপক্ষে ১২ মাসের মধ্যে ইন্টারভিউ তারিখ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী হোসেন জিলানী বলেন, '১৭-১৮ মাস পেরিয়ে গেলেও দূতাবাস কোনো যোগাযোগ করেনি। তারা উপযুক্ত কোনো কারণও দেখাতে পারছে না। ২০২০ সালে ভিসা পেতে ৯ মাস অপেক্ষার কথা দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালে ১০-১২ মাস সময় লাগছে। প্রতি বছর সময়সীমা বেড়েই চলছে। অক্টোবর মাসের মধ্যে সশরীরে গিয়ে ক্লাস না করলে আমাদের ছাত্রত্ব বাতিল করে দেবে।'

শিক্ষার্থী কামরুন নাহার বলেন, 'গত ১ বছর ধরে দূতাবাস তাদের কর্মী সংকট আছে বলে জানাচ্ছে। কিন্তু তারা এ সমস্যা নিরসন করছে না। ১ বছরে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী জার্মানির বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ক্লাস করছে। করোনার মধ্যে অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ দেওয়া হলেও এখন সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন সশরীরে ক্লাসে না গেলে ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাবে ও শিক্ষাজীবন নষ্ট হয়ে যাবে। দেশেও আমাদের আর পড়াশুনার সুযোগ থাকবে না।'

শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, 'ভর্তির জন্য প্রায় ১১ লাখ টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছি। ২০২১ সালের মে মাস থেকে অনলাইনে ক্লাস করছি। কিন্তু ২০২১ সালের জুলাই মাসে দূতাবাসে আবেদন করেও ভিসা পাইনি। জার্মানিতে অবস্থান না করে দেশে থাকায় বিভিন্ন ধরনের ফি পাঠাতে হচ্ছে। যার কারণে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতি হচ্ছে আমাদের।'

একই কথা জানান শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেন জার্মান দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ভিসা জটিলতা নিরসন করে। প্রতিদিন ১০ জন শিক্ষার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া হোক। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যেন উচ্চশিক্ষায় জার্মানি যেতে পারে জন্য সেজন্য সুনির্দিষ্ট ওয়েটিং পিরিয়ড জানানো হোক।'

Comments

The Daily Star  | English

Netanyahu says Israel close to meeting its goals in Iran

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

17h ago