দাপুটে জয়ে ইউএস ওপেনের নতুন রানি শিয়াওতেক

ছবি: টুইটার

প্রথমবারের মতো ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন ইগা শিয়াওতেক ও ওন্স জাবির। দুজনের সামনেই ছিল ইতিহাস গড়ার হাতছানি। তবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে প্রত্যাশিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারলেন না জাবির। সরাসরি সেটে তাকে হারিয়ে ইউএস ওপেনের নারী এককে চ্যাম্পিয়ন হলেন শিয়াওতেক।

শনিবার রাতে আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে তিউনিসিয়ার জাবিরকে ৬-২, ৭-৬ (৭-৫) ব্যবধানে হারান শিয়াওতেক। বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা পোল্যান্ডের তারকার এটি প্রথম ইউএস ওপেন ও সব মিলিয়ে তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম। এর আগে দুটি ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন তিনি। অন্যদিকে, ২৮ বছর বয়সী জাবিরের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হলো। গত জুলাইয়ে উইম্বলডনের ফাইনালে উঠেও পরাস্ত হয়েছিলেন তিনি।

প্রথম সেটে কোনো লড়াই হয়নি। একক আধিপত্য দেখিয়ে জিতে যান ২১ বছর বয়সী শিয়াওতেক। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও সেই ধারা বজায় রাখেন তিনি। এক পর্যায়ে ৪-০ গেমে এগিয়ে যান। তবে জাবির ঘুরে দাঁড়িয়ে স্কোরলাইন ৪-৪ করে ফেলেন। টাইব্রেকারে গিয়ে ফের ছন্দ খুঁজে পান শিয়াওতেক। জাবিরের ফোরহ্যান্ড শট দিশা খুঁজে না পেলে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতেন তিনি।

চলতি বছরের শুরুতে টানা ৩৭ ম্যাচ জেতার কৃতিত্ব দেখান শিয়াওতেক। সেসময় ফরাসি ওপেনসহ মোট ছয়টি শিরোপা ঘরে তোলেন তিনি। তবে এরপর পারফরম্যান্সে ঘটে ছন্দপতন। উইম্বলডনের চতুর্থ রাউন্ড থেকে ছিটকে যান। এবার নিজের সেরাটা ইউএস ওপেনের ফাইনালের জন্য জমিয়ে রাখা শিয়াওতেক ম্যাচের পর বলেন, 'আমি খুব বেশি কিছু আশা করছিলাম না। এই প্রতিযোগিতার আগে আমার খুব কঠিন সময় কেটেছে।'

দ্বিতীয় সেটে লড়াই জমিয়ে তুললেও জাবিরকে ভুগতে হয় আনফোর্সড এররের জন্য। প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দেওয়ার পাশাপাশি হার থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা জানান তিনি, 'ইগা আমার জন্য কাজটা কঠিন করে তুলেছিল। সে যোগ্য হিসেবে জিতেছে।'

'হার-জিত টেনিসের অংশ। প্রথম ডব্লিউটিএ শিরোপা জিততে আমাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে, আমার অনেক সময় লেগেছে। তাই আমি মনে করি, গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততেও সময় লাগবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো এটা মেনে নেওয়া। হেরে যাওয়া ফাইনালগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে। অবশ্যই, আমি হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নই। আমি নিশ্চিত যে আবার ফাইনালে খেলব। গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।'

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

14h ago