ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে আবারও গোলাগুলি, আতঙ্কে স্থানীয়রা
২ দিন বিরতির পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে আবারও গোলাগুলির তথ্য পাওয়া গেছে। এতে সীমান্তের কাছে বসবাসরতদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, আজ বুধবার সকাল থেকে থেমে থেমে গুলি আর মর্টার শেলের শব্দে কেপে ওঠে ঘুমধুম সীমান্তের তমব্রু বাজার ও এর আশপাশের এলাকা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার পর্যন্ত টানা ২৩ দিন রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছিল। ৩ আগস্ট মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টার থেকে গুলি, মর্টার শেল ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এসময় বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ২টি গোলা পতিত হয়। পরদিন রোববার সকাল থেকে হঠাৎ গোলাগুলি থেমে যায়। তবে আজ ভোর থেকে আবার থেমে থেমে গুলি এবং মর্টার শেলের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা জানান, অন্তত ১০ থেকে ১৫টি মর্টার শেল ছোড়া হয়। এ ঘটনায় সীমান্তের শূন্য এলাকায় (নো ম্যানস ল্যান্ড) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা ৪ হাজার বাসিন্দা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২ দিন বিরতি দিয়ে আজ সকাল থেকে আবার গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। ১০ থেকে ১৫টি মর্টার শেল ছোড়া হয়েছে। এতে এই পাড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।'
'আমরা লোকজনকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া, সীমান্তে সর্তক অবস্থায় টহল দিচ্ছে বিজিবি', বলেন তিনি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা পুরো ঘটনাটি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। মিয়ানমারের অংশে যে এলাকায় গোলাগুলি চলছে, সেটি পাহাড়ি এলাকা। বাংলাদেশ সীমান্তের সেই অংশে ফলের বাগান ও জুমচাষের জমি রয়েছে। আমরা সেখানকার বাসিন্দা এবং শ্রমিকদের বলেছি- জরুরি কাজ না থাকলে যেন সেখানে না যায়।'
'সীমান্তের বিভিন্ন অংশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে বা অনুপ্রবেশ না হয়', বলেন তিনি।
Comments