পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিএফআইইউকে গবেষণা সেল গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিত করতে এবং পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসকে একটি গবেষণা সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, 'পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে শুধু চিঠি আদান-প্রদান কার্যকর হবে না। আপনাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনাকে বিষয়টি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এই বিষয়ে আপনার জ্ঞান এবং আন্তরিকতা থাকতে হবে। ভারত যদি করতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারবো না?'
এই বিষয়ে একটি স্বপ্রণোদিত রুলের শুনানির সময় বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে এসব কথা বলেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এ ছাড়া হাইকোর্ট বিএফআইইউ প্রধানকে আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে আদালতের কাছে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
বিএফআইএফ প্রধান মাসুস বিশ্বাস নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার পর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সুইজারল্যান্ডের (সুইস) ব্যাংকে টাকা পাচারের বিষয়ে যথাযথভাবে প্রতিবেদন না দেওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসকে তলব করে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদনটি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তৈরি করা হয়নি। সেখানে তিনি স্বাক্ষর দেননি এবং প্রতিবেদটি ফরোয়ার্ডের সময় পদবি ও ঠিকানা লেখেননি।'
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, 'বিএফআইইউ প্রতিবেদনটি 'দায়সারাভাবে' করেছে। যে কারণে হাইকোর্ট বিএফআইইউ প্রধানকে তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে তলব করেছে।'
বিএফআইইউ গতকাল সোমবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিকের মাধ্যমে একটি হলফনামা দিয়ে হাইকোর্টে বিবৃতি দাখিল করে যে তারা সুইজারল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থের বিষয়ে ১৩ বার তথ্য চেয়েছে।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ জানায়, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা রাখা অর্থের তথ্য চাওয়ার বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশ সরকার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যে বিবৃতি দিয়েছে তা পরস্পরবিরোধী।
Comments