বাউফলে সাবেক সেনা কর্মকর্তার ওপর হামলা, ২ ছেলেকে কুপিয়ে জখম

পটুয়াখালী
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় সেনাবাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার সকালে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের তাঁতেরকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিনকে বাঁচাতে তার ২ ছেলে মো. নাঈম হোসেন ও মো. আরিফ হোসেন এগিয়ে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়।

এদের মধ্যে আহত নাঈমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ মো. মনির হোসেন সিকদারের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে নাসির উদ্দিন বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, তাঁতেরকাঠী গ্রামের বাসিন্দা সেনাবাহিনীর সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার মো. নাসির উদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার মনির হোসেন সিকদার ও তার ভাই সিরাজ সিকদারের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন আগে নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সিরাজ সিকদারের কথা-কাটাকাটি হয়। আজ সকালে নাসির উদ্দিন তার ২ ছেলে নাঈম ও আরিফকে নিয়ে বাড়ির পুকুরে মাছের খাবার দিচ্ছিলেন। সকাল ৮টার দিকে মনির হোসেনের নেতৃত্বে ৬-৭ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে নাসির উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। নাসির উদ্দিন এর প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয়। বাবাকে বাঁচাতে নাইম ও আরিফ এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়।

এ বিষয়ে জানার জন্য মনির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার ভাই সিরাজ সিকদার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত বুধবার নাসির উদ্দিন তাকে অন্যায়ভাবে পিটিয়েছেন। মনির এ বিষয়ে নাসির উদ্দিনের বাড়িতে জিজ্ঞেস করতে গেলে ২ জনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

2h ago