মুন্সিগঞ্জে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার অভিযোগ

ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২০ নেতা-কর্মী আহত হওয়ার দাবি করেছে বিএনপি।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জশুরগাও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হামলার এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বিএনপির এক নেতাকে যুবলীগ নেতা-কর্মীরা ব্যাপক মারধর করছেন। সেসময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা-কর্মীদের হাতে রামদা ও লাঠি থাকতে দেখা যায়।

শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব হাফিজুল ইসলাম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা আসছিলেন। তবে এ কর্মসূচি যাতে পালন না করতে পারি, সেজন্য পুলিশ ছাত্রলীগকে উসকে দিয়েছে। পুলিশের নির্দেশেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা-কর্মীরা আমাদের মারধর করেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ১৫-২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।'

তিনি বলেন, 'আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। রাস্তায় ফেলে লাথি মেরেছে। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে মেরে আহত করেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ।'

'তাদের হাতে রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক, রড ও লাঠি ছিল। থানার ওসিসহ কর্মকর্তারা ছাত্রলীগকে দিয়ে এ হামলা চালিয়েছেন। যদি থানায় মামলা নেওয়া হয় তবে এক নম্বর আসামি হবে পুলিশ', বলেন বিএনপির এই নেতা।

শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের সভাপতি জয়নাল আবেদীন জেমস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা-কর্মীরা মারধর করেছে। প্রথমে পুলিশ মারধর শুরু করে, এরপর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।'

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া হামলার ভিডিও বিষয়ে যুবলীগ সদস্য সাদ্দাম হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শোকদিবস উপলক্ষে র‍্যালি বের করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ। সেসময় ছাত্রদল, যুবদল, বিএনপি নেতা-কর্মীরা এতে বাধা দেয়। সেসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ, যুবলীগের ৮-১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।'

তিনি বলেন, 'মারামারি ঠেকানোর জন্য বাঁশ নিয়ে গিয়েছিলাম। বিএনপি নেতারা যদি উল্টাপাল্টা কাজ করেন, তাহলে মেনে নেব না।'

তবে হাতে রামদা, লাঠি ছিল কেন? প্রশ্ন করলে এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এই যুবলীগ সদস্য।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রলীগের একটি মিটিং চলছিল। এসময় বিএনপির মিছিল থেকে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। এরপর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ আটক নেই। কারও অভিযোগও পাওয়া যায়নি।'

তিনি আরও বলেন, 'ছাত্রলীগকে পুলিশের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।'

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago