দেশব্যাপী ৫-১১ বছর বয়সীদের করোনার টিকাদান শুরু

আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নিধি নন্দিনী দাসকে গত ১১ আগস্ট প্রথম করোনার টিকা দেওয়া হয়। ছবি: মওদুদ আহম্মেদ সুজন/স্টার

সারা দেশে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে বসবাসরত শিশুদের এ টিকা দেওয়া হবে। ক্রমান্বয়ে তা দেশের অন্যান্য এলাকায় শুরু হবে।

আজ বৃহস্পতিবার শিশুদের টিকাদানের মূল কর্মসূচি শুরু হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ জানান, শিশুদের ভ্যাকসিন দিতে দেশের ১২ করপোরেশনে ১৮৬টি কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।

আজ সকাল ৯টায় রাজধানীর নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

আগামী ২ সপ্তাহ এ কর্মসূচিটি চলবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এর আগে ১১ আগস্ট কর্মসূচির উদ্বোধনী দিনে ১৬ শিশুকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক গত ১০ আগস্ট দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিশুদের টিকাদানের মূল কর্মসূচি আগামী ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে। প্রথমে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু হবে এবং ক্রমান্বয়ে দেশব্যাপী হবে।'

এই কর্মসূচির আওতায় কতজন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আমাদের কর্মসূচির আওতায় আসবে এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ লক্ষ্যে কাজ করছে।'

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ কোটি ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৩৮।

তবে, এর বাইরেও মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থী ও পথশিশু রয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ক্রমান্বয়ে মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থী ও পথশিশুদের টিকাদানের আওতায় আনা হবে। আমরা এ পর্যন্ত শিশুদের জন্য ফাইজার ভ্যাকসিনের ৩০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

2h ago